ছেলেদের পর্দার বয়স কত?
ছেলেদের যখন নারীদের সৌন্দর্য সম্পর্কে সচেতন হতে আরম্ভ করে তখন থেকেই তার সঙ্গে পর্দা করতে হবে। সূরা নূরের ৩১নং আয়াতে এসেছে তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে কিন্তু তাদের স্বামীর নিকট অথবা যৌন কামনামুক্ত পুরুষ ও বালক যারা নারীদের আবৃত অঙ্গ-প্রতঙ্গ সম্পর্কে সচেতন নয়।” (সূরা আন নূর ৩১)
এই চেতনা সাধারণত কত বছর বয়সে হয় এ নিয়ে ফকীহগণের বিভিন্ন মত আছে। ইমাম আহমদ র. সহ অনেকেই দশ বছর বলেছেন। তবে ফাতাওয়া শামীতে বয়োপ্রাপ্তির ন্যূনতম সীমা ১২ বছর বলা হয়েছে। সুতরাং ছেলের ১২ বছর বয়স হলেই তার সাথে নারীদের পর্দা করতে হবে। তবে দশ বছর বয়স থেকেই শুরু করা ভাল।
প্রসঙ্গত বর্তমানে এ বিষয়ে অনেক বেশী সতর্ক ও সচেতন হওয়া উচিত (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৩/৩৫; আলমুফাসসাল: ৩/১৮০-১৮১)
ছেলেদের পর্দার বিধান
আমাদের এক ভাই ছেলেদের পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে অনুরোধ করেছেনঃ
খুব সুন্দর একটি বিষয়ের উপর আলোচনা করার অনুরোধ করেছেন। আজকাল এমনটা হয়েছে যে, পর্দা বলতেই আমরা বুঝি যে এটা শুধু মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।কিন্তু এই ধারনা ঠিক নয়।
ইসলাম একটা পূর্নাঙ্গ জীবনবিধান এবং মানুষের সুখী,শালীন ভাবে বেঁচে থাকার সকল উপায় এখানে বাতলানো আছে। আমরা পড়াশুনা করিনা তাই জানতে পারিনা। আবার অনেকে না জেনেই অনেক বিরূপ ধারণা পোষণ করে থাকি। আজকে আপনার অনুরোধে পুরুষের পর্দার উপর দৃষ্টিপাত করার চেষ্টা করবো।
কুরআন সহ বিভিন্ন হাদিসে পুরুষের এবং নারীর পর্দার উপর আলোকপাত করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে পর্দা যেমন নারীর জন্য ফরয তেমনি পুরুষের জন্যেও ফরয। পবিত্র কুরআনের পর্দার বিধান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সূরা নূরের আয়াতদুটিতে প্রথমেই পুরুষদের পর্দার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কুরআনে বলা হয়েছেঃ
“মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন”। (সূরা আন নূর:৩০)
যে সব বস্তু মানব হৃদয়কে আল্লাহর স্মরণবিমুখ করে দেয়, কিংবা যে দিকে তাকাতে শরীয়তে নিষেধাজ্ঞা উচ্চারিত হয়েছে, সে দিক থেকে দৃষ্টিকে বিরত রাখতে হবে।
যেমন: ঘরে-বাইরে, রাস্তা-ঘাটে পরনারী ও আজনাবী মহিলা, ছায়াছবির অশ্লীল দৃশ্যাবলী কিংবা দেয়াল পোস্টারের অশালীন ছবি ইত্যাদি।
মূলত: অসংযত দৃষ্টির কুপ্রভাব শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মন-মানসকেই কলুষিত করে না; বরং তা তার গোটা দেহের সমস্ত কর্ম-কান্ডে সংক্রামিত হয়ে ক্রমান্বয়ে ব্যক্তি পর্যায় অতিক্রম করে এক সময় তা সমূহ বিপদ নিয়ে জাতীয় অস্তিত্ব বিনাশী অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়ায়।
আকাশ-সংস্কৃতি, পাশ্চাত্য থেকে আসা অশ্লীল ছবির কুপ্রভাবে আমাদের যুব সমাজের মধ্যে বর্তমানে নৈতিক অবক্ষয়্যের যে ধস নেমেছে, তা এই নির্মম সত্যেরই কিছু বাস্তবতা।
এই অপসংস্কৃতির করাল গ্রাস রোধ করতে যদি আমরা অক্ষমতার পরিচয় দেই;তাহলে আগামী দিনে ইসলামী আদর্শ-ঐতিহ্য নিয়ে আমাদের জাতীয় স্বকীয়তা সংরক্ষণ করা কিছুতেই সম্ভব হবে না।
এ জন্য হাদীসে কুদসিতে ইরশাদ হয়েছে:
“অসংযত দৃষ্টি শয়তানের বিষাক্ত বাণ। যে ব্যক্তি আমার ভয়ে তা বর্জন করবে বিনিময়ে আমি তাকে দেব এমন ঈমান, যার মাধুর্য-মাধুরী সে অনুভব করবে হৃদয় ভরে”।
আর এ কথা সতঃসিদ্ধ যে, আনত-নয়ন বিশিষ্ট হওয়াই নিষিদ্ধ দৃষ্টি থেকে আত্মরার ও দৃষ্টির পবিত্রতা বিধানের প্রকৃষ্ট পদ্ধতি-কৌশল। স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালাই আমাদের এ শিক্ষা দিয়েছেন।
দৃষ্টির অবাধ বিচরণের নাম স্বাধীনতা নয়, যেমন অনেক নির্বোধ মূর্খ ধারণা করে থাকে। বরং তা হচ্ছে কুপ্রবৃত্তির কাছে নিজের পরাধীনতার বহিঃপ্রকাশ।
একটি খুধার্ত সিংহকে লোকালয়ে ছেড়ে দিলে সে যতটা হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে, অনিয়ন্ত্রিত কুপ্রবৃত্তির ধ্বংসযজ্ঞ তার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। কু রিপুর পূজারীরা মূলতঃ জালেম ও সীমালংঘনকারী।
ইসলামের দৃষ্টিতে: মানুষতো তখনই স্বাধীন হতে পারে, যখন সে কুপ্রবৃত্তির দাসত্ব থেকে আত্মমুক্তি লাভ করে।
এ জন্যই কুরআনুল কারীমে কুপ্রবৃত্তি পূজারীদেরকে চরম ধিক্কার দেয়া হয়েছে।
“অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম সে সকল নিদর্শনসমূহের বদৌলতে। কিন্তু সে যে অধঃপাতিত এবং নিজের রিপুর অনুগামী হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হলো কুকুরের মতো; যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে আর যদি ছেড়ে দাও তবুও হাঁপাবে” (আল আরাফ:১৭৬)
ইসলামে পর্দা সম্পর্কে সকল পোস্ট পড়ুন
আজনাবী ব্যক্তি নারীর মুখমন্ডল ও হাতের তালু দেখতে বা ধরতে পারবে কিনা?
এ ব্যাপারে শরীয়তের সিদ্ধান্ত হলো:
এক: যৌন লালসা বা কুধারণা থেকে মুক্ত-পবিত্র ও নিরাপদ থাকার শর্তসাপেে এগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করতে পারবে। কিন্তু তার মধ্যে যদি কৃপ্রবৃত্তি জাগ্রত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে, কিংবা নিজের ব্যাপারেই সে সন্দেহ-সংশয়ে দোদুল্যমান, তাহলে দৃষ্টিপাত করতে পারবে না।
এ জন্যই রাসূল কারীম (স.) হযরত আলী (রা.) কে বলেছিলেন:
“হে আলী! পরনারীর প্রতি প্রথম (হঠাৎ) দৃষ্টির পরে দ্বিতীয় দৃষ্টি দিওনা। কারণ প্রথম দৃষ্টি তোমার পক্ষ থেকে হবে। আর দ্বিতীয় দৃষ্টি তোমার বিপক্ষে অর্থাৎ তোমার জন্য অকল্যাণকর” । দ্বিতীয় দৃষ্টি বলতে এখানে যৌন লালসার সাথে তাকানো বুঝিয়েছেন।
অন্য হাদিসে আছে,
“যে ব্যক্তি কোনো পরনারীর সৌন্দর্যের প্রতি যৌন লালসা নিয়ে তাকায়, কিয়ামতের দিন তার চোখের মধ্যে সিসা ঢেলে দেয়া হবে” ।(ফতহুল কাদির) নবী করিম (সা.) কড়া নির্দেশ দান করেছেন, কোনো নারী অথবা পুরুষ যেন কোনোভাবেই পর্দা লঙ্ঘন না করে। তিনি বলেন, ‘যে আপন ভাইয়ের সতরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে সে অভিশপ্ত’ (জাসসাস : আহকামুল কোরআন)।
এমনকি কোনো পুরুষ কোনো নারীর সামনে এবং কোনো নারী কোনো নারীর সামনে উলঙ্গ হতে পারবে না। সিহাহ্ সিত্তাহ্ হাদিসগ্রন্থের অন্যতম মুসলিম শরিফে বলা হয়েছে, ‘কোনো পুরুষ কোনো পুরুষকে এবং কোনো নারী কোনো নারীকে যেন উলঙ্গ অবস্থায় না দেখে।’
হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নিজের ঊরু কাউকে দেখাবে না এবং কোনো জীবিত বা মৃত ব্যক্তির ঊরুর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়ো না’ (তাফসিরে কবির)।
পুরুষের জন্য গৃহে প্রবেশের আগে গৃহবাসীর অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই বিধান প্রবর্তন করার উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়ে থাকে, যাতে গৃহের স্ত্রীলোকদের কেউ এমন অবস্থায় দেখতে না পায়, যে অবস্থায় তাদের দেখা আগন্তুক পুরুষের উচিত নয়।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘যখন তোমাদের পুত্রগণ সাবালক হবে, তখন অনুমতিসহকারে গৃহে প্রবেশ করা তাদের উচিত, যেমন তাদের পূর্ববর্তীগণ অনুমতিসহকারে গৃহে প্রবেশ করত’ (সুরা নূর : ৫৯)।
আল্লাহ তায়ালা অন্য এক আয়াতে ইরশাদ করেছেন, ‘হে ইমানদারগণ! গৃহস্বামীর অনুমতি ব্যতীত কারো গৃহে প্রবেশ করবে না এবং যখন প্রবেশ করবে, তখন গৃহের অধিবাসীদের সালাম দাও’ (সুরা নূর : ২৭)।
আর এই নির্দেশ লঙ্ঘনকারীদের জন্য তো বিশ্বনবী (সা.) কঠোর শাস্তির ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ অনুমতি ব্যতীত অপরের গৃহের ভেতরে তাকিয়ে দেখে, তাহলে তার চক্ষু উৎপাটন করার অধিকার গৃহের অধিবাসীদের থাকবে’ (মুসলিম)।
কুরান ও সুন্নাহ অনুসারে হিজাবের ৬ টি দিক রয়েছে
- পুরুষের জন্য (কমপক্ষে) নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং মহিলাদের জন্য সমস্ত শরীর (মুখমণ্ডল ও হাতের কবজি ব্যাতীত) ঢেকে রাখা বাকি ৫ টি দিক পুরুষ ও নারীর জন্য একই।
- ঢিলাঢালা পোষাক পরা।
- স্বচ্ছ পোষাক না পরা।
- এমন পোষাক না পরা যা অন্যকে আকৃষ্ট করে।
- পুরুষের জন্য মহিলাদের পোষাক এবং মহিলাদের জন্য পুরুষের পোষাক পরা নিষেধ।
- অন্য ধর্মাবলম্বীদের পরিচয় বহনকারী কোন কিছু না পরা তবে শুধু পোষাকেই নয়, আমাদের আচার-ব্যবহার, চাল-চলন সর্বক্ষেত্রেই হিজাব অপরিহার্য।
উল্লেখ্য, পর্দার বিধান কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছে। যেমন- ডাক্তার রোগীকে দেখার স্বার্থে শুধু তার মুখমণ্ডল নয়, প্রয়োজন হলে সতরও দেখতে পারবে। বৃদ্ধ, রুগ্ণ ব্যক্তি ও বালকের জন্য পর্দা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে অনেকে মত প্রকাশ করেন।
পরিশেষে বলা যায়, যদি নারী-পুরুষ উভয়ই ইসলামের পর্দার বিধানাবলি যথাযথভাবে পালন করে, তাহলে সর্বত্র নারী নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবে। আর পুরুষের ওপর অর্পিত পর্দার বিধানাবলি যদি পুরুষরা যথাযথভাবে মেনে চলে, তাহলে নারীকে পর্দা প্রথার নামে ঘরে বন্দি করে রাখার প্রয়োজন হবে না।
সত্যিকার অর্থে যদি এমনটি সম্ভব হয়, তাহলে সমাজে অনাচার-ব্যভিচার, বিশেষ করে বর্তমান সময়ে আলোচিত ইভ টিজিংয়ের জন্য আলাদা কোনো আইন প্রণয়নের আবশ্যকতা থাকবে না। কারণ ইসলাম ধর্মের বিধান অনুসারে পুরুষ পথেঘাটে এবং কর্মক্ষেত্রে দৃষ্টি সংযত রেখে চলাফেরা করবে। এমনটি যদি প্রকৃতপক্ষে সম্ভব হয়, তাহলে নারী নিরাপদ থাকবে।
পুরুষদের পর্দা করার বিষয়ে আল-কোরআন ও হাদিস যা বলেছে
অন্য ধর্মের তুলনায় ইসলামে নারীদের পর্দার ব্যাপারে কড়া হুঁসিয়ারি দেয়া আছে। তবে অনেকেই জানে না ইসলাম শুধু নারীদেরকেই পর্দা করতে বলেনি ইসলামে বরং নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা কিছু নিয়ম দেয়া আছে।
কুরআন মাজিদ ও হাদিসে পর্দাকে অলঙ্ঘনীয় বিধান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিধান অস্বীকারকারী নিশ্চিত কাফির বলে স্বীকৃত। এতে কোনো ওলামায়ে কিরামের দ্বিমত নেই। আজ পদে পদে যেভাবে পর্দা লঙ্ঘিত হচ্ছে তার পরিণতি খুবই ভয়াবহ।
পুরুষদের পর্দার বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে নবী! মুমিন পুরুষদের বলে দিন তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং যৌন পবিত্রতা রক্ষা করে চলে। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতম পন্থা। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে আল্লাহ তা অবহিত। (সূরা আননূর : ৩০)।
জারির ইবনে আবদিল্লাহ বাজালি (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে কোনো নারীর প্রতি হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সাথে সাথেই দৃষ্টি সরিয়ে নেবে (সহিহ মুসলিম)।
বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আলী (রা.)-কে বললেন, হে আলী! দৃষ্টির ওপর দৃষ্টি ফেলো না। হঠাৎ যে দৃষ্টি পড়ে ওটা তোমার ক্ষমার্হ; কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি তোমার জন্য ক্ষমাহীন পাপ (হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আবু দাউদ (রহ.)।
বিশ্বনবী রাসূলে আকরাম (সা.) বলেন- তোমরা (মুমিনরা) নবীপত্নীদের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা পর্দার (পর্দার বিধান) তোমাদের এবং তাদের অন্তরসমূহের জন্য পবিত্র থাকার উত্তম পন্থা (সূরা আহজাব: ৫৩)।
রাসূল (সা.) আরো বলেন, সাবধান! কোনো (পর) পুরুষ যেন কোনো (পর) নারীর সাথে নির্জনে অবস্থান না করে। কেননা যখনই তারা (নিরিবিলিতে) মিলিত হয়, শয়তান তাদের তৃতীয়জন হয় এবং (উভয়কে) কুকর্মে লিপ্ত করানোর প্রচেষ্টায় সে তাদের পিছু লেগে যায় ( তিরমিজি শরিফ)।
কোনো (পর) পুরুষ যেন কোনো মহিলার সাথে নির্জনে মিলিত না হয়। তবে মাহরাম ব্যক্তির (ব্যাপারটি) স্বতন্ত্র। আর কোনো মহিলা যেন মাহরাম ছাড়া একাকী তিন দিনের পথ (৪৮ মাইল) পথ ভ্রমণ না করে (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)।
{Collected}
আরো পড়ুন,
রমজান মাসের দোয়া এবং আমল সমূহ