নারী মহিলাদের কন্ঠে কোরআন তেলাওয়াত বা গজল শোনা জায়েজ?

নারী কন্ঠে কোরআন তেলাওয়াত বা গজল শোনা অথবা মহিলাদের ওয়াজ করা জায়েজ কিনা?

নারীদের কণ্ঠে তিলাওয়াত হাম-নাত গজল শোনা না’জায়েজ/হারাম

প্রশ্ন: মহিলারা কুরআন তিলাওয়াত, হামদ, নাত বা ইসলামিক গান পরিবেশন করে। এটি ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক কতটুকু জায়েজ? আমরা জানি যে,কোনো নারীর গলার আওয়াজ গায়রে মাহরাম পুরুষদের জন্য জায়েজ নাই।

উত্তর: মহিলাদের জন্য সুরেলা ও কোমল কণ্ঠে পর পুরুষদের সামনে কথা বলাই যেখানে জায়েজ নাই সেখানে আকর্ষণীয় ভঙ্গীতে সুন্দর ও সুরেলা কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত, গজল বা ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশ করা কিভাবে জায়েজ হতে পারে?

এটি নি:সন্দেহে ফিতনার কারণ। আল্লাহ তাআলা নারীদেরকে প্রয়োজনে পুরুষদের সাথে কথার বলার সময় কোমল কণ্ঠ পরিহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন:

إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوفًا

“যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না। ফলে কুবাসনা করবে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে। আর তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।”

(সূরা আহযাব: ৩২)

সুতরাং মহিলাদের জন্য এভাবে উন্মুক্ত ভাবে সুর করে কুরআন তিলাওয়াত, হামদ, নাত, গজল বা ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশ করা জায়েজ নাই।

তবে কেবল তা যদি মাহরাম পুরুষ বা মহিলাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে তাতে কোনো আপত্তি নাই।

এগুলো টিভিতে প্রদর্শনী করলে বা উউটিউবে আপলোড দিলে কত লক্ষ লক্ষ ফাসেক-পাপাচারী ও দুর্বল ইমানদার মানুষের কাছে পৌঁছে যায়-যা অনেক ভালো মানুষের জন্যও ফিতনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং তা বৈধ হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

তৎসঙ্গে যদি কুরআন তিলাওয়াতকারী, সঙ্গীত পরিবেশকারী বা অনুষ্ঠান উপস্থাপনকারী যুবতী মেয়েদের মুখমণ্ডল খোলা থাকে/বেপার্দা অবস্থায় থাকে অথবা সঙ্গীতের সাথে বাদ্যযন্ত্রের সংযোগ থাকলে তা হারাম হওয়ার বিষয়টি আরও জটিল হবে। আল্লাহ ক্ষমা করুন।

জ্ঞাতব্য যে, মহিলাদের জন্য যেমন এভাবে গান-গজল পরিবেশন করা বৈধ নয় ঠিক তদ্রূপ পুরুষদের জন্য নন মাহরাম মহিলাদের সুর ও কণ্ঠস্বর উপভোগ করাও বৈধ নয়।

উত্তর প্রদানে:

শায়েখ:আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)

দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব KSA.

নারী কন্ঠে কোরআন তেলাওয়াত বা গজল শোনা অথবা মহিলাদের ওয়াজ করা জায়েজ কিনা?

ফেসবুকে ছেলে বা মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে গায়রে মাহরাম পুরুষ/নারীদের ফটোতে লাইক/রিয়েক্ট করা যাবে কি? আর করলেও ইসলামের দৃষ্টিতে সেটা জায়েজ কি?

সাজান

“মু’মিনদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করে, এটা তাদের জন্যে পবিত্রতম; তারা যা করে সে বিষয়ে আল্লাহ অবিহিত।” (সূরা নূর: ৩০)।

গায়রে মাহরাম এর প্রতি ভুলবশত চোখ পড়ে গেলেই নবী(সা:) ফিরিয়ে নিতে বলেছেন।ফোটো দেখাই পাপ হবে। রিকেক্ট দুরের কথা।

বেগানা নারীদের সরাসরি দেখা যেমন না জায়েজ ঠিক তেমনই ভাবে তাদের ফটো দেখাও না জায়েজ ও হারাম। তাই বেগানা মেয়েদের ফটো দেখা কোনভাবেই জায়েয না।

মহিলাদের ওয়াজ করা কি জায়েজ?

মহিলাদের ওয়াজ করা ইসলামিক আদর্শে বিষয়টি একটি বিতর্কমূলক বিষয়। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি ইসলামিক দেশে মহিলাদের ওয়াজ করার প্রচার রয়েছে।

ইসলামিক শরীয়তে কোনো নির্দিষ্ট নিষেধ নেই যে মহিলারা ওয়াজ করতে পারবে না। কিন্তু মহিলার সম্পূর্ণ উপস্থিতি এবং বক্তব্য নেয়া ইসলামিক সম্প্রদায়ে নয়। কিছু ইসলামিক দেশে মহিলা বিষয়টি ব্যাপকভাবে সমর্থিত না হওয়া প্রমাণ করে তাদের ওয়াজ করার প্রচার নেই। তবে, অন্য দেশে মহিলাদের ওয়াজ করার সমর্থন হয়।

আরো পড়ুন,

রমজান মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব

রমজান মাসের দোয়া এবং আমল সমূহ

রমজানের মাসআলা সমূহ

রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি যেভাবে নেবেন

রমজানের সময় সূচি 2022

ইফতারের দোয়া এবং নিয়ত

রোজার নিয়ত

মহিলাদের পর্দা সম্পর্কে ওয়াজ
মহিলাদের/নারীদের পর্দা সম্পর্কে ওয়াজ

Leave a Reply

3 × 2 =

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.