Site icon Marketer Rashed

পদ্মা সেতু রচনা – সকল শ্রেণির জন্য । Marketer Rashed

পদ্মা সেতু রচনা

পদ্মা সেতু রচনা

পদ্মা সেতু রচনা – সকল শ্রেণির জন্য । Marketer Rashed

পদ্মা সেতু রচনা লিখে অনেকেই সার্চ করে থাকেন কারন পদ্মা সেতু রচনা টি  আগামী পরীক্ষার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ । তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে পদ্মা সেতু রচনা টি পোস্ট টি করেছি । আশা করছি পদ্মা সেতু রচনা টি আপনাদের পড়ে ভালো লাগবে এবং উপকারে আসবে । আর আজকের পদ্মা সেতু রচনা টি সব শ্রেণির জন্যই বিবেচনা করে লিখা হয়েছে । আজকের পদ্মা সেতু রচনা টি সব শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রি রাই পরতে পারবেন ।

পদ্মা সেতু রচনা টি এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারন পদ্মা সেতু টি শুধু একটি সেতু এই নয় এটি আমাদের বাঙ্গালি জাতির  স্বপ্ন , গৌরব, প্রয়োজন এবং অহংকার ।

তাই পদ্মা সেতুর বিষয়ে আমাদের সম্পুরন ধারনা থাকা উচিত । 

যেমন , পদ্মা সেতু রচনা , পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ রচনা , পদ্মা সেতু সম্পরকে সাধারণ জ্ঞান এবং পদ্মা সেতু প্রাগ্রাফ সব কিছুই আমাদের জেনে রাখা উচিত । কারন আগামিদিনে পদ্মা সেতু টি আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে ও ব্যাপক ভুমিকা রাখছে । তাইতো আজকের পদ্মা সেতু রচনা টি আপনাদের জন্য । 

পদ্মা সেতু রচনা :

ভূমিকাঃ একটি দেশের মান পরিমাপ করা হয় তার অর্থনীতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি দ্বারা। যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন উন্নয়নের সূচক বোঝায়, তেমনি প্রতিটি দেশ চায় দ্রুত যোগাযোগের সাথে থাকতে। পদ্মা সেতু নাগরিকদের জন্য একটি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা তালিকাভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে বড় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি।

বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু পদ্মা বহুমুখী সেতু । কোনোরূপ বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেক্তিগত তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত সর্ব বৃহৎ প্রকল্প এই পদ্মা সেতু । 

পদ্মা সেতু দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য পদ্মা সেতু বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল । পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়। 

এই সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযােগ ঘটাবে। এই সেতু   শুধু মাত্র একটি সেতু নয় এই এটা বাংলাদেশের অহংকার  দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের আশা এবং স্বপ্ন এবং নতুন জীবনযাত্রা শুরু হয়েছে এই পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে। এই পদ্মা সেতু বদলে দেবে দেশের অর্থনীতি  উন্নত হবে মানুষের জীবনযাত্রা । 

( পদ্মা সেতু রচনা – সকল শ্রেণির জন্য । Marketer Rashed )

পদ্মা সেতুর বর্ণনা:

পদ্মা সেতু হল বাংলাদেশের বৃহত্তম সেতু । এটি দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এই সেতুর উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। মূল সেতুর পিলার ৪২টি। এর মধ্যে নদীর মধ্যে ৪০টি ও নদীর দুই পাড়ে ২টি পিলার রয়েছে। নদীর ভেতরের ৪০টি পিলারে ৬টি করে মােট ২৪০টি পাইল রয়েছে । এছাড়া সংযােগ সেতুর দুই পাশের দুটি পিলারে ১২টি করে মােট ২৪টি পাইল রয়েছে । পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানাে হয়েছে । 

সেতুর দুই পাড়ে ১২ কিলােমিটার সংযােগ সড়ক নির্মিত হয়েছে । নদীশাসনের জন্য চীনের সিনহাইড্রো কর্পোরেশন কাজ পেয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বুয়েট এবং কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন অ্যান্ড অ্যাসােসিয়েটস সেতুর নির্মাণ কাজ তদারকি করছে । মূল সেতুর কাজ করেছেন চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।

ভৌগােলিক প্রেক্ষাপটে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব:

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এ দেশ তেরশত নদীর দেশ । এদেশের বুকে বয়ে গেছে অসংখ্য নদন । তাই যাতায়াত ব্যবস্থায় আমাদের প্রতিনিয়তই নৌপথের আশ্রয় নিতে হয়।  আর নৌ পথে আমাদের সঠিক বেবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়তই ঝামেলায় পড়তে হয় এবং বাবসায়িক ক্ষেত্রে লোকসানের সম্মুখীন হতে হয় । তাই এই যাতায়াত ব্যবস্থাকে গতিশীল করার জন্য প্রয়ােজন হয় সেতুর। সেতু থাকলে নদীর দুই দিকের মানুষের যােগাযােগ ব্যবস্থায় যেমন উন্নতি হয়, তেমনি ব্যবসায়-বাণিজ্য ভালাে হওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ঘটে।

( পদ্মা সেতু রচনা – সকল শ্রেণির জন্য । Marketer Rashed )

পদ্মা সেতু নির্মাণের ইতিহাস:

২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে, আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়। এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। তখন ২০১১ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা জানানো হয়। 

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) এপ্রিল 2010-এ প্রকল্পের জন্য প্রাক-যোগ্যতা দরপত্র আমন্ত্রণ জানায়। সেতুর নির্মাণ কাজ 2011 সালের প্রথম দিকে শুরু হবে এবং 2013 সালে বড় সমাপ্তির জন্য প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হয়েছিল (এবং 2015 সালের শেষের দিকে সমস্ত বিভাগ সম্পূর্ণ হবে)। প্রকল্প প্রস্তুতির সাথে জড়িত কিছু লোকের দুর্নীতির অভিযোগের পর, বিশ্বব্যাংক তার প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে এবং অন্যান্য দাতারা প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে এরপর বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব তহবিল দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। চীন 2 বিলিয়ন ডলার বা প্রকল্প ব্যয়ের 70 শতাংশ বিনিয়োগ করে বিল্ড-ওন-ট্রান্সফার (বিওটি) ভিত্তিতে সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাব করেছে। চারটি কোম্পানি—চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি, ডেইলিম-এলএন্ডটি জেভি এবং স্যামসাং সিএন্ডটি কর্পোরেশন—টেন্ডারের কাগজপত্র কিনেছে। কিন্তু শুধুমাত্র চীনা কোম্পানি 24 এপ্রিল 2014 তারিখে তাদের আর্থিক প্রস্তাব জমা দেয়। 17 জুন 2014 তারিখে, পদ্মা সেতু নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়। পদ্মা নদীর ওপর দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষিত সেতু নির্মাণের জন্য চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়েছে। 6.15 কিলোমিটার সেতুটির আনুমানিক খরচ ৳91.72 বিলিয়ন (US$1.1 বিলিয়ন)

AECOM-এর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের একটি দল পদ্মা বহুমুখী সেতুর বিশদ নকশা করছে। প্রকল্পটি দুটি পর্যায় নিয়ে গঠিত। প্রকল্পের প্রথম ধাপে নকশার ধাপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা নির্মাণ চুক্তি প্রদানের জন্য ক্রয় কার্যক্রমের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেয়। 

AECOM-এর হংকং অফিসে মূল সেতুর একটি বিশদ নকশা করা হয়েছিল। ডিজাইন টিমের দ্বারা সম্পাদিত সমস্ত কাজ AECOM এর কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (QMS) এর কাঠামোর মধ্যে সম্পাদিত হয়েছিল । QMS টিম দ্বারা গৃহীত সমস্ত প্রকল্পের কাজ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) নিয়মিতভাবে নকশা পর্যালোচনা করার জন্য পাঁচটি জাতীয় এবং পাঁচটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেছে।

নভেম্বর 2020 পর্যন্ত, 6.15 কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বি-স্তর পদ্মা বহুমুখী সেতুর 92% এরও বেশি নির্মাণ (সমস্ত প্রধান স্টিলের ফ্রেমের স্প্যানগুলি পিয়ারে সেট করা হয়েছে) সম্পন্ন হয়েছে।  মূল সেতুর জন্য নিয়োগ দেওয়া চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (এমবিইসি) কাজটি করবে।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর কাজটি মোটামুটিভাবে পাঁচটি ভাগে বিভক্ত- প্রধান সেতু, নদী প্রশিক্ষণ, দুটি সংযোগ সড়ক এবং অবকাঠামো (পরিষেবা এলাকা) নির্মাণ। নদী প্রশিক্ষণের জন্য চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশনকে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেডকে দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য চুক্তি দেওয়া হয়।

24 আগস্ট 2021 সকাল 10:12 এ পদ্মা সেতুর 12 এবং 13 নম্বর পিলারের সাথে সংযোগকারী স্প্যানটিতে শেষ রাস্তার স্ল্যাবটি স্থাপন করা হয়েছিল।

SNC-Lavalin একটি দর কষাকষি চুক্তি গ্রহণ করেছে যেখানে কোম্পানি এবং এর সহযোগীদের 10 বছরের জন্য বিশ্বব্যাংকের চুক্তির জন্য বিডিং থেকে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ কারণ আন্তর্জাতিক দাতা একটি আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তিতে সম্মত হওয়ার আগে প্রয়োজনীয় চারটি মানদণ্ডের মধ্যে একটি হল: “একটি অভিযুক্ত পক্ষ দোষ স্বীকার করেছে কিনা”। কেউ কেউ ধরে নেন যে SNC লাভালিন তাই করেছিলেন।

2019 সালের জুলাই মাসে ফেসবুক এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথার প্রয়োজন হবে। এর ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বহু মাতাল লোককে মারধর করা হয়েছে এবং তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরে 9 জুলাই 2019, সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি গুজব এবং ভিত্তিহীন বলে গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠায়। গবেষকরা সেতু কর্তৃপক্ষকে সেতু নির্মাণের সমস্ত বিবরণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন

( পদ্মা সেতু রচনা – সকল শ্রেণির জন্য । Marketer Rashed )

পদ্মা সেতু নির্মাণে সমস্যাঃ ২০১২ সালের ৪ জুলাইজাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করার কথা বলেন। ৮ জুলাই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ পরিকল্পনা সংসদে পেশ করেন তিনি। ২০১২ সালের ৯ জুলাই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। বিশ্বব্যাংকের শর্তের কারণে ২৩ জুলাই তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়

পদ্মা বহুমুখী সেতু আলোচনা শুরু থেকেই বিতর্ক ও ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়েছিল। বিশ্বব্যাংক বলেছে যে, তারা “বিভিন্ন উৎসের দ্বারা প্রমাণিত বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে যা পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সাথে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, এসএনসি-লাভালিন এক্সিকিউটিভ এবং বেসরকারি ব্যক্তিদের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে। কথিত দুর্নীতির ফলে, বিশ্বব্যাংক প্রাথমিকভাবে সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত ঋণ মঞ্জুর করতে অস্বীকার করে এবং সরকারের সাথে ঋণ আলোচনা অব্যাহত রাখার শর্ত আরোপ করে। এর মধ্যে একটি শর্ত মেনে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন কে পদত্যাগ করতে হয়েছিল, কারণ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

যাইহোক, দুর্নীতির অভিযোগগুলি পরবর্তীকালে মিথ্যা এবং যোগ্যতা ছাড়াই প্রমাণিত হয় এবং একটি কানাডিয়ান আদালত পরবর্তীকালে মামলাটি খারিজ করে দেয়।

পদ্মা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয়:

২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প পাস করে। এরপর ২০১১ সালে প্রকল্পের সংশােধিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। এরপর ২০১৬ সলে পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যয় দ্বিতীয়বারের মতাে সংশােধন করা হয়। সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারিত হয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। প্রথম দিকে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, আইডিবি এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু প্রকল্প থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

( পদ্মা সেতু রচনা – সকল শ্রেণির জন্য । Marketer Rashed )

পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব:

পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিহার্য । কেননা এই সেতুর মাধ্যমে রাজধানীর সাথে এই অঞ্চলের মানুষের সরাসরি সংযােগসাধন ঘটায় অর্থনীতি গতিশীল হবে। নিচে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব তুলে ধরা হলাে-

শিল্পক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব:

পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞলের সাথে সরাসরি উত্তর-পূর্বাঞলের যােগাযােগ ঘটবে। ফলে এই অঞ্চলে গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্পখাত । তাছাড়া এই সেতুকে কেন্দ্র করে গতিশীল হবে পায়রা সমুদ্র বন্দর। ফলে ব্যবসায়ের সুবিধার্থে স্থাপিত হবে নতুন শিল্পকারখানা।

কৃষিক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব:

বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যােগাযােগ ব্যবস্থা ভালাে না থাকায় তারা তাদের কৃষি কাজ করে লাভবান হতে পারেনা কারন , তাদের জাতায়াত বেবস্থা ভাল না হওায় তারা ঠিক সময়ে তাদের পণ্য বিক্রি করতে না পারলে তাদের অনেক খতিগ্রস্থ হয়। সেতু নির্মাণের ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা ওই অঞ্চলের মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসলের  ন্যায় গতিশীল হবে। ফলে ওই অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সহজেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌছে যাবে। এতে কৃষা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবে। এছাড়া কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার সহজ হবে। ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

দারিদ্র্য দূরীকরণে পদ্মা সেতুর প্রভাব: 

পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞলের মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই সেতু নির্মাণের ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় সেখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তাছাড়া সহজেই ওই অঞ্চলের মানুষ কাজের জন্য অন্যান্য স্থানে যেতে পারবে। এতে বেকারদের কর্মসংস্থান হবে।

পরিবেশের ভারসাম্যে পদ্মা সেতুর ভূমিকা:

পদ্মা সেতু প্রকল্পকে কেন্দ্র করে নদীর দুই পাড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় নদীর পাড় বাধা হচ্ছে। ফলে ওই এলাকায় নদীভাঙন রােধ হবে। এছাড়া নদীর দুই পাড়ে এবং সংযােগ সড়কের রাস্তার দুই পাশে বৃক্ষরােপণ ক্র হচ্ছে। এতে এসব এলাকার পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সবুজায়নের ফলে ওই এলাকা মরুকরণের হাত থেকে রক্ষা পাবে। আবার বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করে বলে অবাধে বৃক্ষনিধন হয়। কিন্তু পদ্মা সেতু প্রকল্পের মাধ্যমে ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযােগ দেওয়া সহজ হবে। এতে মানুষের জ্বালানির চাহিদা পূরণ হবে। ফলে বৃক্ষনিধন কমে যাবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষিত হবে।

উপসংহার

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের একটি স্বপ্নের নাম, যা দেশের অর্থনীতির চেহারা পাল্টে দেবে। এই সেতুর ফলে দেশের দক্ষিণাঞলে গড়ে উঠবে ব্যাপক শিল্পকারখানা, গার্মেন্টস,। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে আজ বাস্তবায়িত স্বপ্নের পদ্মা সেতু । বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় এই প্রকল্প খুলে দেবে দেশের উন্নতির নতুন দুয়ার। এই সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সামাজিক , অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে । 

আশা করছি আজকের পদ্মা সেতু রচনা টি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে । যদি পদ্মা সেতু রচনা টি আপনাদের অপকারে এসে থাকে তাহলে অবসসই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে পদ্মা সেতু রচনা টি পরার জন্য তাদের সুযোগ করে দিন । আর পদ্মা সেতু নিয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পোস্ট রয়েছে আমাদের ওয়েবসাইটে । সেগুল আপনি না পড়ে থাকলে অবশই পড়ে আসুন নিচের আমার প্রোফাইল লিঙ্ক এ গিয়ে ঃ

সুমাইয়া জাহান ফাতেমা 

পদ্মা সেতু রচনা এবং পদ্মা সেতু সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট গুলো ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশই জানাবেন । এবং এরকম গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন । 

পদ্মা নদির উপরে সেতু টি যেমন বাঙ্গালিদের বেছে থাকতে খাবার খাওয়া প্রয়োজন ঠিক তেমনি পদ্মার বুকে সেতুতি প্রয়োজন হয়েছে বাঙ্গালির । তাই পদ্মা সেতু রচনা বোর্ড পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ । 

আর পদ্মা সেতু রচনা শুধু যে বোর্ড পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমনও নয় সব ক্লাসের জন্যই পদ্মা সেতু রচনা টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ । 

পদ্মা সেতু রচনা টি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । এরকম গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিন আজকের পদ্মা সেতু রচনা টি । 

সকলের সুস্থতা কামনা করছি ।

জাযাকাল্লাহ খাইরান ।

Exit mobile version