মহিলাদের মাহরাম কে কে বা কারা?

আজকের পোস্টে আমরা মহিলাদের মাহরাম কে কে বা কারা টা নিয়ে জানানোর চেষ্টা করেছি। আল্লাহ আমাদের সকল্কে এগুলো বুজে মানার তাওফিক দান করুন।

মহিলাদের মাহরাম কারা?

এখানে মাহরাম তারাই যাদের সাথে বিয়ে হওয়া স্থায়ীভাবে হারাম। মানে যেসকল পুরুষের সাথে মহিলাদের বিবাহ করা হারাম তারাই মাহরাম।

মাহরাম- এর কিছু শর্ত:

মাহরামকে অবশ্যই মুসলিম, বিবেকবান এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে।

মাহরাম তিন শ্রেণিতে বিভক্ত:

এক. বংশীয় মাহরাম

বংশীয় মাহরাম মোট সাত শ্রেণি:

১- মহিলার মূল যেমন, পিতা, দাদা,নানা। (যত উপরেই যাক)

২- মহিলার শাখা যেমন, পুত্র, পুত্রের পুত্র,

কন্যার পুত্র। (যত নীচেই যাক)

৩- মহিলার ভাই। আপন ভাই

বা বৈপিত্রেয় ভাই অথবা বৈমাত্রেয় ভাই।

৪- মহিলার চাচা। আপন চাচা বা বৈপিত্রেয় চাচা অথবা

বৈমাত্রেয় চাচা।অথবা কোন মহিলার পিতা বা মাতার চাচা।

৫- মহিলার মামা, আপন মামা বা বৈপিত্রেয় মামা

অথবা বৈমাত্রেয় মামা। অথবা কোন মহিলার পিতা বা মাতার মামা।

৬- ভাইপো, ভাইপোর ছেলে, ভাইপোর

কন্যাদের ছেলে (যত নীচেই যাক)।

৭- বোনপো, বোনপোর ছেলে, বোনপোর

কন্যাদের ছেলে (যত নীচেই যাক)।

দুই. দুধ খাওয়াজনিত মাহরাম

দুধ খাওয়াজনিত মাহরামও বংশীয় মাহরামের মত সাত শ্রেণি।

যাদের বর্ণনা উপরে চলে গেছে।

তিন. বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে মাহরাম

বৈবাহিক কারণে চার শ্রেণি মাহরাম হয়।

১- মহিলার স্বামীর পুত্রগণ, তাদের

পুত্রের পুত্রগণ, কন্যার পুত্রগণ (যত নীচেই যাক)।

২- মহিলার স্বামীর পিতা, দাদা, নানা (যত উপরেই যাক)।

৩- মহিলার কন্যার স্বামী, মহিলার পুত্র সন্তানের মেয়ের স্বামী, মহিলার

কন্যা সন্তানের মেয়ের স্বামী (যত নীচেই যাক)

৪- যে সমস্ত মহিলাদের সাথে সহবাস হয়েছে সে সমস্ত মহিলার মায়ের

স্বামী এবং দাদি বা নানির স্বামী।

———————————————

{লেখক: ড. আবু বকর যাকারিয়া

সূত্র :ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব}

মহিলাদের জন্য ১৪ জন মাহরাম পুরুষ ব্যতিত অন্য পুরুষদের দেখা দেয়া হারাম।

মহিলাদের মাহরাম পুরুষগণ হলেন:

বাবার মত পাঁচ জনঃ

(১) নিজের বাবা    

(২) দুধ বাবা          

(৩) চাচা                

(৪) মামা               

(৫) শশুর

ভাইয়ের মত পাঁচ জনঃ

(১) আপন ভাই

(২) দুধ ভাই

(৩) দাদা ভাই

(৪) নানা ভাই

(৫) নাতী

ছেলের মত চার জনঃ

(১) নিজের ছেলে

(২) ভাইয়ের ছেলে

(৩)বোনের ছেলে

(৪) মেয়ের জামাতা

” ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের গোপন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে।

তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, কামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে।

মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (২৪:৩১)

আরো পড়ুন,

রমজান মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব

রমজান মাসের দোয়া এবং আমল সমূহ

রমজানের মাসআলা সমূহ

রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি যেভাবে নেবেন

রমজানের সময় সূচি 2022

ইফতারের দোয়া এবং নিয়ত

রোজার নিয়ত

মহিলাদের মাহরাম
মহিলাদের মাহরাম

Leave a Reply

sixteen − eight =

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.