ফ্রিলান্সিংয়ে সফল হতে হলে এই ১০ টি বিষয় জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ।
(১). বিষয় নির্ধারন:-
আপনি ভাবতেছেন একজন ফ্রিলেন্সার হবেন।
তো সবার আগে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে যে আপনি কোন বিষয় নিয়া কাজ করবেন।
ফ্রিলান্সিং প্লাটফরমে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি,
ওয়েব ডেবোলপমেন্টের মতো অনেক বিষয় রয়েছে এখান থেকে একটা বিষয় বেছে নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে।
বিষয় নির্ধারন একান্ত ব্যাক্তিগত কাজ।
ফ্রিলান্সিং সফল হতে হলে:
(২).ইংরেজী জানা:-
ফ্রিলান্সিং এমন একটা প্লাট ফরম যেখানে ইংরেজীর বিকল্প নেয়।
তাই আপনাকে ইরেজীতে এমন স্কিল অর্জন করতে হবে যাতে খুব সহজে আপনি বায়ারের সাথে কথা বলতে পারেন।
(৩).সময়ের গুরুত্ব দেওয়া:-
ফ্রলান্সিং কাজ করতে চাইলে অবশ্যই সময়ের সদব্যবহার করতে হবে।অনেকের মনোভাব হয় যে,
সকালে তো একটা কাজ করলাম দুপুরে আরকেটা করবো,দুপুর হলে বলে রাতে করবো।
রাত হলে কাল সকালে করবো এমন মনোভাব যাদের মাঝে আছে তারা মাথা থেকে এগুলো মুছেফেলুন। কারন সময় আপনার জন্য অপেক্ষা করে থাকবেনা।
(৪).ডিসিপ্লেইন মানা:-
ফ্রলান্সিং করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ডিসিপ্লেইন মেইনটেইন করতে হবে।
অর্থ্যাৎ আপনি যদি চান যে, HTML এর কোর্সটা শেষ করবেন তাহলে সমপূর্ন কোর্সটাকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে নিয়ে নির্দিষ্ট পরিমানে শিখা।
কোন দিন বেশি আবার কোনদিন কম এমন করে শিখার চেষ্ঠা করা যাবেনা।
(৫).অহংকার না করা:-
কেউ আপনার চেয়ে কম কাজ পারে বলে তাকে এভয়েড করে চলা বা তার মেসেজ কিংবা কলের উত্তর দিলে নিজে ছোট হয়ে যাবেন।
এমন অহংকারী মনোভাব যার মাঝে আছে সে তা ত্যাগ করুন।কারন অহংকার পতনের মূল।
(৬).অন্যকে শিখানো:-
আপনি যা পরেন তা অন্যকে শিখান। কারন যদি আপনি অন্যকে শিখান তা হলে আপনার কাছে আপনি বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন সেই সাথে অাপনি অন্যের উপকারও করতে পারলেন।
(৭).প্রতারকের কাছ থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখা:-
ফেসবুকে, ইউটুবে, ওয়েব সাইটে অনেক পোস্ট দেখা যায় এমন যে, মাত্র ৩০ দিনে ওয়েব ডিজাইনার হয়ে উঠুন, অল্প টাকায় বিভিন্ন ধরনের কোর্স ইত্যাদি এই সব পোস্ট থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
কারন এই সব কোর্স আর বিডিও দিয়ে আপনি কিছুই শিখতে পারবেন না। বরজোর আপনি বেসিক কিছু শিখতে পারবেন যাদিয়ে কোন দিনও সফল ফ্রলেন্সার হতে পারবেন না।
(৮).নিজের প্রতি আস্থা রাখা:–
যেকোন কাজে সফলতা পাওয়ার জন্য পুরোপুরি নিজের প্রতি ভরসা রাখা। করণ এমন একটা সময় আসবে যখন মনে হবে যে, এই কাজ আমাকে দিয়ে হবেনা, বা পরিবার থেকে যখন বাধা আসবে।
তখন আপনার নিজের প্রতি আস্থা রাখতে হবে এবং সকল বাধার মোকাবেলা করে সেই কাজে টিকে থাকতে হবে। তহলেই জিবনে কিছু করতে পারবেন।
(৯).ধৈর্য ধরা:-
ধৈর্য সফলতার চাবিকাঠি। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা পেশা যেখানে ধৈর্য ধরা ছারা সফলতা পাওয়া যায়না।
(১০).অজুহাত ত্যাগ করা:-
ফ্রিলান্সিং শিখতে এসে যদি বলেন যে, আমারতো লেপটপ নাই, কম্পিউটার নাই তো এখন আমি কিভাবে ফ্রিলান্সিং করবো। এরকম অজুহাত ত্যাগ কর।
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা বিষয় যেটা কাউকে চাইলেই জোর করে শেখানো যায়না।
ক্লাস টেন-এ এ+ পেতে হলে যতটুকু ডেডিকেশন দিয়ে পড়াশুনা করতে হয়- ঠিক তার থেকেও বেশি হার্ডওয়ার্কিং করতে হয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফল হতে হলে। একজন ফ্রীলান্সার মাসে হাজার হাজার টাকা এমনিতেই ইনকাম করে না।
১৫ টি এভারগ্রিন কুইক ফ্রিল্যান্সিং টিপস :
- ফর ডিজাইনার : গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হলে সবার আগে ফটোশপ আর ইলাস্টেটর শিখুন।
- 1.1- তারপর আস্তে আস্তে অন্যান্য প্রকারের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের কাজ শিখুন।
- ফর প্রোগ্রামার : এক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে অনেক কিছু করতে চাইলে জাভাস্কিপট শিখুন।
- ফর ইউটিউবার : ইউটিউবে ভিডিও আপলোড দিয়ে ও ভিউ পাচ্ছেন না? তাহলে বেশী সময়ের ভিডিও ও কোয়ালিটিফুল ভিডিও আপলোড করুন।
- ফর মার্কেটার : ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স ‘এ কুইক ইনকাম করতে চাইলে স্পটিফাই এর মার্কেটিং শিখুন। সাথে – Neil Patel, Larry Kim, Brian Dean, “Marketer Rashed (Bengali)” এদেরকে ফলো করুন।
- এন্ডোয়েড এপ বানাতে চাইলে জাভা কিংবা কটলিন শিখুন।
- কম সময়ে কোডিং ছাড়া প্রোফেশনাল ওয়েবসাইট বানাতে চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস ও জুমলা শিখুন।
- গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে প্রথম আয় করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সার ডট কম ও ডিজাইনহীল ডট কমে কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করুন।
- ঘরে বসে বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাইলে Udemy, Skillshare, Coursera এর ফ্রি কুপন দিয়ে ফ্রি কোর্স গুলো দেখুন।
- এফিলিয়েট মার্কেটিং’এ সফল হতে চাইলে আগে সিপিএ মার্কেটিং শিখুন।
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যন্সিং শুরু করতে চাইলে কনটেন্ট রাইটিং শিখুন।
- যে সেক্টরে কাজ করেন, আগে প্রফেশনালভাবে শিখে নিন।
- ফেসবুক ও ইউটিউবে শুধু কাজের ভিডিও গুলই দেখুন । অযথা সময় নষ্ট থেকে বিরত থাকুন ।
- ফ্রিল্যান্সিং লাইনে ঠিকে থাকতে প্ল্যান বি তৈরি করুন।
- সুস্থ থাকতে সফল হতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করুন।
- সফল হতে হলে অব্যশই ধৈর্য ধরুন।
চলুন তাহলে এখন ফ্রীল্যান্সি – আউটসোর্সিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে একটা ভিডিও দেখে নেয়া যাক-
ফ্রিলান্সিং:
বর্তমানে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং খুবই জন্যপ্রিয় একটি পেশা |
ইদানিং সরকারিভাবে এটিকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে |
এ সকল বিষয় দেখে অনেকেই ঝুঁকছে এই পেশার দিকে |
আর চারদিকে এত পরিমাণে ট্রেনিং সেন্টার যা চোখে পড়ার মতো |
এখান থেকে আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এর নামে নিয়মিত প্রতারিত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন ছাত্র-ছাত্রীসহ আরো অনেকে |
কারণ সঠিক জ্ঞান না থাকায় অনেকেই সঠিক মেন্টর বাছাই করতে পারেনা –
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক যে কোন সাহায্য পেতে [ Freelancing Helpline] গ্রুপটিতে
জয়েন হয়ে পোস্ট করুন, www.facebook.com/groups/freelancinghelpline
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কোন প্রয়োজনে, যে কোন সহায়তার জন্য গ্রুপে আপনার মূল্যবান মন্তব্য শেয়ার করতে পারেন। আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার সহ যে কোন মার্কেট প্লেসেই কাজ করে থাকুন না কেন, সেটা আমাদের লক্ষনীয় বিষয় নয় আমাদের লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়েছেন কিনা। শেয়ার করতে পারেন আমাদের গ্রুপে আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করবো অন্তত ভালো কিছু সাজেশন দেওয়ার। আপনি এড হউন অন্য ফ্রিল্যান্সার ভাই-বোনদেরকে এড করুন। সাহায্য করুন-সহযোগিতা নিন।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কথা যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ-

ইদানীং আমরা অনেক ফ্রিল্যান্সারদের শারীরিক অবনতি নিয়ে অনেকেই ডক্টরের কাছে যাচ্ছ।
আবার অনেক ডক্টর, দেখে জিজ্ঞেস করেই ফেলে ড্রাগ নেন নাকি ফ্রিল্যান্স করেন ?
অনেকেই আবার শরীরের প্রতি লক্ষ্য না রেখেই সাধারণ ওষুধ খেয়ে দিন পার করছি আবার কোনো ওষুধ খাই না।
নিয়মিত রাত জাগার ভয়বহতা আমরা সকলেই জানি, জটিল সব রোগের বীজ হলো রাত জাগা, কিন্তু জীবিকার টানে জগতে হচ্ছে।
আবার একটা কথাও আছে রাতজাগা ছাড়া নাকি সফলতা আসেনা। যাইহোক সমস্যা আছে সমাধানও আছে।
আমি আমার সকল ভাই-বোনদের বলবো এখনো সময় আছে সাস্থসচেতন হয়ে যান।
আমার অনেক পরিচিত ফ্রিল্যান্সার আছে, যারা এখন অসুস্থতায় জর্জরিত হয়ে বেকার।
অথবা সামান্য বেতনে চাকরি করছে। অনেককে আমরা হারিয়েছি অল্প বয়েসে।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হল ফ্রিল্যান্সারদের জাতীয় রোগ, গ্যাস্ট্রিক হলে কোনো ওষুধ খাবেন না, খালি পেটে গরম পানি লেবু আর ১ চামুচ ভিনেগার খাবেন, ৩০ মিনিট পরে কিছু খাবেন।
ইনশাল্লাহ ৭ দিন পরে আপনার গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়া লাগবে না,
মনে রাখবেন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ আপনার হজম শক্তি নষ্ট করে একটা সময় আপনি ওষুধ ছাড়া অচল হয়ে যাবেন।
ভাত আমরা সকলেই খাই, কিন্তু ভাতের সাথে যদি ( কাঠ , কাজু , পেস্তা , আখরোট , চীনা বাদাম একসাথে গুঁড়া ) ৩/৪ চামুচ নেই তবে কিন্তু পাবেন পৃথিবীর সেরা পুষ্টিকর খাবার।
খাবার শেষে ৩/৪ তা খুরমা খেজুর, ২০/২৫ টা কালো কিসমিস খান।
খাবার পরে ঠান্ডা পানি পান পরিহার করে, কুসুম গরম পানি খান।
আর বাসি খাবার একদম খাবেন না। আবোল তাবোল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কাজে বসার আগে ব্ল্যাক কফি খান।
হালকা ব্যাম করেন নিয়মিত, শরীর মন ভালো থাকবে। শারীরিক কোনো সমস্যা হলেই ওষুধ খাবেন না। পুষ্টিকর খাবার দিয়ে আর জীবন যাপন দিয়ে রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
ধর্মীয় কাজে নিজের সময়কে একটু দিয়ে দেন। ধুমপান, ড্রাগ সাময়িক প্রশান্তি দিলেও জীবনে হাহাকার নামিয়ে আনে।
এমন অভ্যাস করতে সময় লাগবে কিন্তু আমার বিশ্বাস ফ্রিল্যান্সারদের কাছে এটা তেমন খারাপ লাগবে না।
” মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সারদের জীবনমান সাধারণ মানুষের মতো না। রাত জাগা , মস্তিষ্কের ঘাম , আর আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার লড়াই সবাই করে না “
আজ শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন আর পোস্টে কমেন্ট করবেন! আল্লাহ্হাফেজ!
Pingback: ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স | ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব সোর্স মিলিয়ে একটি কোর্স