আজকের পোস্টে আমরা সাদকায়ে জারিয়ার উৎস কি কি? সাদকায়ে জারিয়া কীভাবে করতে হয় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্!
সাদকায়ে জারিয়া কি বা কাকে বলে?
সাদকায়ে জারিয়া আরবি শব্দ। সাদকা শব্দের অর্থ দান করা এবং জারিয়া অর্থ প্রবহমান, সদাস্থায়ী প্রভৃতি। সাদকায়ে জারিয়া হলো এমন দান যার কার্যকারিতা কখনো শেষ হবে না এবং তা কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
অর্থাৎ এই পৃথিবী যত দিন থাকবে তত দিন পর্যন্ত কবরে শুয়ে শুয়ে সদকাকারী ব্যক্তি এর সওয়াব পেতেই থাকবে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিত্তশালী লোকদের ওপর সম্পদের জাকাত এবং ওশর ফরজ
করেছেন। সেই সাথে সদকার ব্যাপারেও তাকিদ দিয়েছেন।
ইসলাম জাকাত এবং ওশরের পরিমাণ নির্ধারণ করে দিয়েছে কিন্তু সদকার ব্যাপারে কোনো সীমা বেঁধে দেয়নি। এ জন্য যে, এর মাধ্যমে মুসলিম সমাজে মজবুত অর্থনীতি গড়ে উঠতে পারে। অপর দিকে সদকার ব্যাপারে ধনী-দরিদ্রের কোনো শর্ত নেই। সবাই সদকা করতে পারেন।
তাই সাদকা করা বিশেষত সাদকায়ে জারিয়ার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা প্রত্যেক মুসলমানের
একান্ত কর্তব্য। এর ফলে পরকালীন জীবন অত্যন্ত শান্তিময় হয়ে উঠবে এমনটি আশা করা
যায়। সদকায়ে জারিয়া সম্পর্কে হাদিস শরিফে সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সদকায়ে জারিয়া সম্পর্কে হাদিস
হযরত আবু হোরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত প্রিয় নবী সাঃ এরশাদ করেছেন, মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তিনটি আমল জারি থাকেঃ
(১) সদকায়ে জারিয়াহ
(২) উপকারী জ্ঞান এবং
(৩) নেক্কার সন্তান যে দোয়া করবে। (বোখারি ও মুসলিম শরিফ)
আল্লাহ আমাদের স্রষ্টা আমরা তার সৃষ্টি তথা গোলাম। আমাদের কল্যাণার্থেই তিনি পৃথিবীকে সুন্দর সাজে সজ্জিত করেছেন। প্রতিটি বিধিবিধান প্রণয়ন করেছেন। যখন সময় চলে আসবে তখন এক এক করে সবাই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে অন্ধকার কবরে চলে যেতে হবে।
এ ক্ষেত্রে রাজা-বাদশাহ, আমির-উমরাহ, ধনী-গরিব কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। দুনিয়াতে বিভিন্ন পেশায় নির্দিষ্ট মেয়াদে নিয়োজিত চাকরিজীবী ব্যক্তি যখন অবসর গ্রহণ করে তখন তার পরবর্তী দুনিয়াবি জীবন সুন্দরভাবে কাজে লাগানোর জন্য কোম্পানি বা সরকার পেনশন এবং গ্র্যাচুইটির ব্যবস্থা রাখে। এতে করে সে বৃদ্ধ বয়সেও ভালোভাবে দিনাতিপাত করতে পারে।
এটা ব্যবস্থাপনার বিশেষ অনুগ্রহ। অথচ আল্লাহতায়ালা এর চেয়ে কোটি কোটি গুণ
বেশি দয়ালু তার বান্দাদের প্রতি, যা অনেকেই উপলব্ধি করতে সক্ষম নই। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, ওঠা-বসা, চলাফেরা, লেনদেন, বিভিন্ন কাজে-কর্মে অনেক ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকে। এর থেকে তওবা না করে মারা গেলে নেকির পাল্লা হালকা হয়ে বান্দা বিপদে পড়তে পারে। তাইতো আল্লাহ বান্দার দুরবস্থা দূর করার জন্য মৃত্যুর পরও নেকি অর্জনের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। হাদিসে বর্ণিত, তিনটি কাজের যেকোনো একটি করে গেলে বান্দা কবরে বসে বসে নেকি পেতেই থাকবে।
সাদকায়ে জারিয়ার উৎস কি কি দেখুন
মহান আল্লাহতায়ালা এবং তার প্রিয় হাবিবের সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ, এতিমখানা তৈরি, গরিব ছাত্রদের বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট ও হাসপাতাল নির্মাণ, পুকুর খনন, নলকূপ বসানো, পাঠাগার ও সেতু নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, ইসলামী পুস্তক দান প্রভৃতিই হলো সাদকায়ে জারিয়া।
সাদকায়ে জারিয়ার উৎস মসজিদঃ
মসজিদে যত দিন মানুষ নামাজ আদায় করবে, কুরআন হাদিসের আলোচনা করবে, জিকির- আজকার এবং ওয়াজ মাহফিল করবে তত দিন পর্যন্ত নির্মাণ ও সহায়তাকারী ব্যক্তি এবং অন্য মুসল্লিরা ও কুরআন-হাদিস চর্চকারীদের সমপরিমাণ সওয়াব কবরে বসে পেতেই থাকবে।
সাদকায়ে জারিয়ার উৎস মাদ্রাসাঃ
মাদ্রাসায় যত দিন কুরআন, হাদিস ও অন্যান্য কিতাবাদি পড়ানো হবে তত দিন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এবং ওই মাদ্রাসা থেকে যত আলেম তৈরি হবে সবার সমপরিমাণ সওয়াব নির্মাণকারী, দানকারী এবং ভালো পরামর্শদাতার আমলনামায় যোগ হতে থাকবে।
সাদকায়ে জারিয়ার উৎস এতিমখানাঃ
পিতা-মাতাহীন এতিম সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য এতিমখানা নির্মাণ।
এই প্রতিষ্ঠান থেকে যত এতিম সন্তান লেখাপড়া করে বেরিয়ে যাবে এবং জ্ঞানের আলো অন্যের মাঝে বিলাতে থাকবে ততদিন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাকারী সওয়াব লাভ করতে থাকবে। এ ছাড়া গরিব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করে যাওয়া। যে অর্থে বহু গরিব ও অসহায় সন্তান লেখাপড়া করে যেতে পারে।
সাদকায়ে জারিয়ার উৎস পাঠাগারঃ
সমাজে বসবাসরত মানুষের মধ্যে ইসলামী শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা। এই পাঠাগার থেকে একটি বই পড়ে কেউ যদি ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ হয় তাহলে তাদের সবার সমপরিমাণ সওয়াব প্রতিষ্ঠাকারী, সাহায্যকারী কবরে বসে পেতে থাকবে।
সাদকায়ে জারিয়ার উৎস হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাঃ
মানব সেবায় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা সর্বোত্তম কাজ। মানুষ এখান থেকে সেবা পায়। রোগমুক্তি ও মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘবের ব্যবস্থা করা হয়। যত দিন এখানে মানব সেবার কাজ চলতে থাকবে তত দিন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাতা এর সওয়াব কবরে বসে পাবেন।
সাদকায়ে জারিয়ার উৎস রাস্তাঘাট নির্মাণঃ
রাস্তাঘাট নির্মাণ একটি জনকল্যাণ কাজ। যত দিন পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে যত মানুষ, পশু-পাখি, জীবজন্তু চলাচল করবে, তত দিন পর্যন্ত নির্মাতার আমলনামায় এর সওয়াব পৌঁছতে থাকবে।
সাদকায়ে জারিয়ার উৎস পুকুর খনন ও নলকূপ বসানোঃ
মানুষের মঙ্গলার্থে পুকুর খনন ও নলকূপ বসানোর মাধ্যমে এর থেকে যত মানুষ পানি পান করবে তার সওয়াব মালিক লাভ করবে।
সাদকায়ে জারিয়ার উৎস বৃক্ষরোপণঃ
যত দিন পর্যন্ত মানুষ, পশু-পাখি এই গাছের ফল খাবে, ছায়ার নিচে বসে শরীর জুড়াবে, তত দিন রোপণকারী সওয়াব পাবে।
সাদকায়ে জারিয়ার উৎস উপকারী জ্ঞানঃ
যে জ্ঞান অর্জন করার কারণে জ্ঞানী ব্যক্তি উভয় জাহানে সাফল্যের পথে অগ্রসর হতে পারে এবং অপরকেও অগ্রসর করতে পারে এমন জ্ঞান লাভ। এ প্রকারের জ্ঞান কুরআন-হাদিস, বালাগাত-
মানতিক, তাফসির গ্রন্থ ও ইসলামি দর্শন অধ্যয়ন ছাড়া লাভ হয় না। এ প্রসঙ্গে হযরত উসমান ইবনে আফ্ফান রাঃ থেকে বর্ণিত; প্রিয় নবী সাঃ এরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ যে কুরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়। (বুখারি শরিফ)
অন্যকে শিক্ষা দেয়ার কয়েকটি উপায় আছে।
যেমনঃ মক্তব বা মাদ্রাসায় লোকজন সমবেত করে শিক্ষা, কুরআন-হাদিসের ব্যাখ্যা সংবলিত বই লিখে এবং ইসলামের মৌলিক বিষয়ে বই লিখে। আর এই উপকারী জ্ঞানার্জন করা আল্লাহর খাস রহমত
ছাড়া সম্ভব নয়। হাদিস শরিফে মহানবী সাঃ এরশাদ করেছেন, আল্লাহ যার মঙ্গল কামনা করেন তাকে দীনের সঠিক বুঝ দান করেন।
নেক সন্তান যে দোয়া করেঃ প্রিয় নবী সাঃ এরশাদ করেন, কোনো পিতা তার সন্তানের জন্য সুশিক্ষা এবং চরিত্র গঠন ব্যতিরেকে উত্তম কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারে না। সন্তানকে নেক্কার না বানিয়ে পিতা যদি লাখ লাখ টাকা রেখে যায় তবে এর দ্বারা পিতা-পুত্র কারো বিন্দুমাত্র উপকার হবে না। বরঞ্চ এই সম্পদ অসৎ পথে ব্যয় করে নিজেও ধ্বংস হবে বাপকেও কবর জগতে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি দাঁড় করাবে।
সুশিক্ষা আর উত্তম চরিত্র বলে সম্পদহীন সন্তানও সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। সবার শ্রদ্ধা-সম্মান, ভালোবাসা ও দোয়া লাভ করতে পারে। এ ছাড়া তার যাবতীয় ভালো কাজের সওয়াব পিতা-মাতার আমলনামায় যেমন যোগ হবে তেমনি নেক সন্তানের দোয়ার বরকতেও পরজগতে পিতা-মাতার গুনাহ মাফ হবে, শাস্তি লাঘব হবে, জান্নাত নসিব হবে এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। তাই আদর্শ পিতা- মাতার উচিত ছোটবেলা থেকেই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রতি গভীর মনোযোগ দেয়া। তাহলে পিতা
হিসেবে সে নিজেকে পরকালীন জবাবদিহিতা থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন এবং সন্তান সমাজে মাথা
উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।
অপর দিকে কেউ যদি নেক সন্তানের পরিবর্তে ধন-দৌলতসহ নাস্তিক, মুরতাদ, বেনামাজি, সুদখোর, ঘুষখোর, মদখোর, হারাম ভক্ষণকারী, জিনাকার, চরিত্রহীন সন্তান রেখে যায় তাহলে ওই সন্তান তো জাহান্নামি হবেই উপরন্তু পিতা-মাতাকেও জাহান্নামের পথিক বানাবে। কেননা পিতা-মাতা সন্তানকে শুধু দুনিয়াবি চাকচিক্যে মত্ত রেখেছে কিন্তু চরিত্র গঠনে উদ্বুদ্ধ করেনি।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
তারা বলবে (সন্তানরা), হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের কথা মেনেছিলাম, অতঃপর তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল।
হে আমাদের পালনকর্তা! তাদের দ্বিগুণ শাস্তি দিন এবং তাদের মহা অভিসম্পাত করুন।
(সূরা আহজাব, ২২ পারা, ৬৭ ও ৬৮ আয়াত)
আলোচ্য আয়াত দ্বারা এটা সুস্পষ্ট যে, সন্তানকে চরিত্রবান হিসেবে গড়তে না পারলে পিতা-মাতা যদি জান্নাতিও হয় তবুও সন্তানের কারণে জাহান্নামই হবে তাদের ঠিকানা। এ জন্য আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেনঃ মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয়, কঠোর স্বভাব ফেরেশতাগণ (সূরা তাহরিম, ৬ আয়াত, ২৮ পারা)
সাদকায়ে জারিয়ার বিপরীতে হলো গুনাহে জারিয়া।
কেউ যদি মসজিদ, মাদ্রাসা না গড়ে সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা, কনসার্টের ও যাত্রাগানের আসর করে তাহলে এসব স্থানে যত দিন গুনাহর কাজ চলতে থাকবে তত দিন প্রতিষ্ঠাতার আমলনামায় সমপরিমাণ গুনাহ পৌঁছতে থাকবে এবং কবরের আজাব বাড়তেই থাকবে।
তবে এসব স্থানে যদি ইসলামি আলোকে কোনো ভালো জিনিস দেখানো হয় বা শিক্ষা দেয়া হয় তাহলে ফলাফলটা আবার সেই রকম হবে। অতএব, প্রত্যেক বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তিরই উচিত দুনিয়াতে বসেই পরকালের পুঁজি সংগ্রহ করা। দুনিয়ার চাকচিক্যে নিজেকে জড়িত না রেখে, ধন- সম্পদের মোহ ত্যাগ করে অন্ততপক্ষে আখেরাতের সাফল্যের জন্য প্রতিনিয়ত কিছু ব্যয় করা।
আর আখেরাতের মিজানের পাল্লা ভারী করে আমলনামা ডান হাতে পাওয়ার প্রত্যাশায় হাদিসে বর্ণিত তিনটি কাজের অন্ততপক্ষে যেকোনো একটি কাজ করে মউতের সুধা পান করা।
সাদকায়ে জারিয়া: আখিরাতের জন্য ইনভেস্ট
প্রশ্ন: সাদকায়ে জারিয়া কাদের দেয়া যাবে কুরআন সুন্নাহর আলোকে জানতে চাই।
উত্তর: সাদকায়ে জারিয়া (স্থায়ী দান) হল এমন দান,যা থেকে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে মানুষ উপকৃত হয়।
সাদকায়ে জারিয়ার উৎস বা খাত কি কি দেখুন
যেমন: মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ, জনকল্যাণ মূলক কাজের উদ্দেশ্যে জায়গা জমি ওয়াকফ (দান) রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ দুঃস্থ অসহায় ও এতিমদের জন্য বাসস্থান ও হসপিটাল নির্মাণ, ইসলামি লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা এবং তাতে বই পুস্তক কিনে দেয়া, কুরআন শিক্ষা দেয়া বা কুরআন দান করা, ইসলাম সম্পর্কে বই পুস্তক লেখা, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার, কোনো গরীব অসহায় তালেবুল ইলম (দ্বীন শিক্ষার্থী) এর লেখাপড়ার পৃষ্ঠপোষকতা করা, তাকে বই পুস্তক কিনে দেয়া, গরীব ও অসমর্থ লোকদের ঘরবাড়ি তৈরি, টিউব ওয়েল বা পানির ব্যবস্থা করা, রক্তদানের মাধ্যমে মানুষের জীবন রক্ষা করা ইত্যাদি।
সাদকায়ে জারিয়ার মাধ্যমে মানুষ মৃত্যুর পরেও কবরে থেকে সওয়াব লাভ করতে থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ »
অর্থ: মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়,তবে ৩ টি আমল বন্ধ হয় না ১.সদকায়ে জারিয়া ২. এমন জ্ঞান যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়, ৩. এমন নেক সন্তান যে তার জন্য দু‘আ করে [সহিহ মুসলিম: ৪৩১০]
এক কথায় বলা যায়, সাদকায়ে জারিয়া হল, আখিরাতের জন্য ইনভেস্ট।যার বেনিফিট মৃত্যুর পরেও একজন মানুষের আমলনামায় জমা হতেই থাকে। সুতরাং মৃত্যুর পূর্বে যথাসম্ভব প্রত্যেকের কিছু জারিয়ার কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
@সংগ্রহিত পোস্ট! সাদকায়ে জারিয়া সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে অবশ্যই নীচে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ!