10 বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এবং ২০২৩ সালে এসে, ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এই বিসয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই পোস্টে।
পাসপোর্ট রেডি এবং পাবার সময়সীমার উপরে ভিত্তি করে ৩ ধরণের বিতরণ সমীক্ষা রয়েছে। এগুলো নিচে দেয়া হল।
নিয়মিত বিতরণ: বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের তারিখ হতে ১৫ কর্মদিবস /২১ দিনের মধ্যে।
জরুরী বিতরণ: বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের তারিখ হতে ৭ কর্মদিবস / ১০ দিনের মধ্যে।
অতীব জরুরী বিতরণ: বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের তারিখ হতে ২ কর্মদিবসের মধ্যে।
সরকারি চাকরিজীবি যাদের এনওসি(NOC) /অবসর সনদ (PRL) রয়েছে তারা নিয়মিত ফি জমা দেওয়া সাপেক্ষে জরুরী সুবিধা/ জরুরী ফি জমা দেওয়া সাপেক্ষে অতীব জরুরী সুবিধা পাবেন।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে (১৫% ভ্যাট সহ):
৪৮ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট
- নিয়মিত বিতরণ: ৫,৭৫০ টাকা
- জরুরী বিতরণ: ৮,০৫০ টাকা
- অতীব জরুরী বিতরণ: ১০,৩৫০ টাকা
৬৪ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট
- নিয়মিত বিতরণ: ৮,০৫০ টাকা
- জরুরী বিতরণ: ১০,৩৫০ টাকা
- অতীব জরুরী বিতরণ: ১৩,৮০০ টাকা
ভিদেওতে বিস্তারিত দেখুন- ১০ বছরের জন্য পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে (সাধারণ আবেদনকারী) :
৪৮ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট
- নিয়মিত বিতরণ: ১২৫ মার্কিন ডলার
- জরুরী বিতরণ: ১৭৫ মার্কিন ডলার
৬৪ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট
- নিয়মিত বিতরণ: ১৭৫ মার্কিন ডলার
- জরুরী বিতরণ: ২২৫ মার্কিন ডলার
বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে (শ্রমিক ও ছাত্র) :
৪৮ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট
- নিয়মিত বিতরণ: ৫০ মার্কিন ডলার
- জরুরী বিতরণ: ৭৫ মার্কিন ডলার
৬৪ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট
- নিয়মিত বিতরণ: ১৭৫ মার্কিন ডলার
- জরুরী বিতরণ: ২২৫ মার্কিন ডলার
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৩
এটা অনেকগুলো বিষয়ের উপরে নির্ভর করে। একেক ধরণের পাসপোর্ট করতে একেক ধরণের ফি বা টাকার প্রয়োজন হয়। এই ব্যাপারে উপরের ভিডিওতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। একটু সময় নিয়ে মনোযোগ সহকারে ভিডিওটি দেখে নিন।
১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট ফি বাংলাদেশ
১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট ফি এর ব্যাপারেও নানারকম রকমফের রয়েছে। এই ব্যাপারে ইতিমধ্যে উপরে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। উপরের অংশ দেখুন।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে
একটি ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট হল একটি ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট যা একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক বা যে কেউ পেতে পারেন যে বিদেশে ভ্রমণ করতে চায়। এই পাসপোর্ট সম্পর্কে কিছু বিষয় এখানে উল্লেখ করা হলো:
মেয়াদ: একটি ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট একজন নাগরিকের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি সহ প্রায় সকল দেশে যাওয়ার জন্য বৈধ হয়।
অফলাইন পাসপোর্ট নথি: পাসপোর্ট সম্পর্কে তথ্য নিবন্ধন ও পাসপোর্ট জমা দেওয়ার সময় অফলাইন পাসপোর্ট নথি জমা দিতে হবে।
ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট: এই পাসপোর্ট ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট হওয়ার কারণে এর সমস্ত তথ্য একটি ইউনিক কোড দ্বারা সংরক্ষিত হয়।
বিদেশ ভ্রমণ: একজন পাসপোর্ট ধারী বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে যেতে চাইলে তাড় ই-পাসপোর্টের প্রয়োজন হবে।
ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
শুধু ১০ বছর নয়- কোন ধরণের ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে তা বিস্তারিতও জানতে নীচের ভিডিওটি দেখুন।
ই পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায় ২০২৩
নিয়মিত বিতরণ: বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের তারিখ হতে ১৫ কর্মদিবস /২১ দিনের মধ্যে।
জরুরী বিতরণ: বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের তারিখ হতে ৭ কর্মদিবস / ১০ দিনের মধ্যে।
অতীব জরুরী বিতরণ: বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের তারিখ হতে ২ কর্মদিবসের মধ্যে।
জরুরি পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে
অতীব জরুরী পাসপোর্ট পেতে: বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের তারিখ হতে ২ কর্মদিবসের মত সময়ের প্রয়োজন হয়।
আর পড়ুন-
পাসপোর্ট করতে বয়স কত লাগে
একজন বাংলাদেশি নাগরিক যদি পাসপোর্ট করতে চায়, তবে তার বয়স কমপক্ষে 18 বছর হতে হবে। একজন বাচ্চা যদি পাসপোর্ট করতে চায় তবে সে তার জন্ম সনদ দ্বারা তার বয়স প্রমাণ করতে পারবে।
এছাড়াও পাসপোর্ট করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট দফা পালন করতে হয় যার উপর নির্ভর করে বয়স কত লাগবে তা সংজ্ঞায়িত হয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন পাসপোর্ট আবেদনকারীর জন্য সরকারি পাসপোর্ট অফিসে একটি তথ্যপূর্ণ ফরম পূরণ করতে হবে এবং এই ফরমে তার বয়স সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে।
সাধারণত, পাসপোর্ট করার জন্য আবেদনকারী যদি পুরো দফা সঠিকভাবে পূরণ করে তবে তার পাসপোর্ট নিবন্ধনের প্রক্রিয়া অনেকটাই দ্রুত হতে পারে।
শেষ কথাঃ
পাসপোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল যা একজন ব্যক্তির অধিকার, পরিচয় এবং দেশ ছেড়ে বিদেশে ঘুরতে দেয়। পাসপোর্ট আবেদন করার সময় সঠিক তথ্য প্রদান করা খুব গুরুত্বপূর্ণ যাতে কোন সমস্যা না হয়। পাসপোর্ট নিবন্ধনের জন্য বিভিন্ন সরকারি দফা পূরণ করতে হতে পারে এবং একটি সঠিক পাসপোর্ট হওয়ার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। পাসপোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল যা একজন ব্যক্তির পরিচয় ও অধিকার সংরক্ষণ করে থাকে।
পাসপোর্ট নিবন্ধন সম্পর্কিত তথ্য সহজলভ্য এবং সরকারি ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে। পাসপোর্ট নিবন্ধনের সময় ব্যক্তি সঠিক তথ্য প্রদান করে পাসপোর্ট পেতে পারেন। সাথেই সঠিক ডকুমেন্টস সমূহ প্রস্তুত করে নিবন্ধন করার জন্য উচিত হবে।