তারাবির নামাজের দোয়া, নিয়ত, মোনাজাত এবং ফজিলত

  • Post author:
  • Post last modified:April 15, 2022
  • Reading time:7 mins read

তারাবির নামাজের নিয়ত, দোয়া, মোনাজাত এবং ফজিলত সম্পর্কে জানুন-

এই পোস্টটিতে আমরা তারাবির নামাজের নিয়ত, দোয়া, মোনাজাত এবং ফজিলত নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ! তারাবির নামাজের নিয়ত ও দোয়া জেনে রাখা আমাদের জন্য খুবেই গুরুত্বপূর্ণ। তারাবির সালাত পবিত্র মাহে রমজানের একটি বিশেষ আমল। আমরা সঠিক ভাবে তারাবি নামাজের নিয়ম কানুন জেনে তারপরে নিয়মিত তারাবির সালাত আদায় করব।

তারাবির নামাজের নিয়ত আরবি । তারাবির নামাজের আরবি নিয়ত

نويت ان اصلى لله تعالى ركعتى صلوة التراويح سنة رسول الله تعالى متوجها الى جهة الكعبة الشريفة الله اكبر

তারাবির নামাজের নিয়ত আরবিতে বাংলা উচ্চারণ

উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার। 

তারাবির নামাজের নিয়ত বাংলা অর্থ

অর্থ : আমি কেবলামুখি হয়ে দু’রাকাত তারাবির সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার।

তারাবির নামাজের বাংলা নিয়ত । বাংলায় তারাবির নামাজের নিয়ত

কিবলা মুখি হয়ে এই ইমামের পিছনে দারিয়ে দুই রাকাত তারাবির সুন্নত নামাজ আদায় করিতেছি- আল্লাহু আকবার! অথবা, তারাবি -এর দুই রাকাত নামাজ কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য (জামাত হলে- এ ইমামের পেছনে) পড়ছি- (اَللهُ اَكْبَر) আল্লাহু আকবার।

তারাবির নামাজের নিয়ত ছবি – Image/Pic

তারাবির নামাজের নিয়ত ছবি
তারাবির নামাজের নিয়ত ছবি : Source- Internet

তারাবির নামাজের দোয়া আরবি । তারাবির নামাজের আরবি দোয়া

৪ রাকাত তারাবি আদায় করে বিশ্রাম বা বিরতির পর  ব্যাপক প্রচলিত একটি দোয়া রয়েছে। যা দেশের প্রায় মসজিদে পড়া হয়। আর তাহলো-

سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ

তারাবির নামাজের দোয়া আরবিতে বাংলা উচ্চারণ

উচ্চারণ : ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’

তারাবির নামাজের সূরা। তারাবির নামাজের সূরা সমূহ। তারাবির নামাজের সূরার সিরিয়াল

নামাজের ১১ টি সূরা- 

১. সূরা ফাতিহা (আল হামদুলিল্লা- যা প্রতি রাকাতে পড়তেই হবে)

২.সূরা ফীল ( আলাম তরা ক্কাইফা)

৩. সূরা  কুরাইশ ( লিঈলাফি কুরাইশিন)

৪. সূরা মা’ঊন (আর য়াই তাল্লাযী)

৫. সূরা কাওসার (ইন্না আতোইনা)

৬. সূরা কাফিরুন (কূল ইয়া)

৭.সূরা নসর ( ইযা জা আ)

৮. সূরা লাহাব (তাব্বাত ইয়াদা)

৯. সূরা ইখলাছ ( কুল হু ওয়াল্লা)

১০. সূরা ফালাক্ক ( কূল আ’উযু বিরব্বিল)

১১. সূরা নাস ( কূল আউযু বিরাব্বিনা সি)

সূরা গুলো উপর থেকে নিচে বা নিচ থেকে উপর ক্রমান্নয়ে পড়া উত্তম। সূরা ফাতিহার সাথে প্রতি রাকাতে অন্য একটি সুরা মিলিয়ে এইভাবে ১০ টি সুরাহ দিয়ে ১০ রাকাত ১০ রাকাত করে মোট ২০ রাকাত তারাবির সালাত আদায় করা যায়।

তারাবির নামাজের দোয়া 

উল্লেখ্য তারাবি নামাজের ৪ রাকাত পর পর পড়ার এ দোয়াটি ব্যাপক প্রচলিত। তবে এ দোয়ার সঙ্গে তারাবি নামাজ হওয়া কিংবা না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এমন নয় যে, এ দোয়া না জানলে বা তারাবি নামাজে না পড়লে নামাজ হবে না। বরং যে কোনো দোয়াই পড়া যাবে। তবে এ সময়টিতে কুরআন-সুন্নাহর দোয়া, তাওবাহ-ইসতেগফারগুলো পড়াই উত্তম।

তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন

তারাবি নামাজ দুই রাকাত দুই রাকাত করে পড়তে হয়। দুই রাকাত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে। এভাবে ৪ রাকাত আদায় করার পর একটু বিশ্রাম নেওয়া যায়। এই সময়ে তাসবিহ-তাহলিল পড়া উত্তম। এরপর আবার দুই রাকাতদুই রাকাত করে আলাদা আলাদা নিয়তে তারাবি নামাজ আদায় করতে হবে।

তারাবির নামাজের মোনাজাত আরবি । তারাবির নামাজের আরবি মোনাজাত

اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ – اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ

তারাবির নামাজের দোয়া আরবিতে বাংলা উচ্চারণ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’

তারাবির নামাজের মোনাজাত

অনেকেই ৪ রাকাত পর পর মোনাজাত করে থাকেন। আবার অনেকে পুরো নামাজ শেষ করে মোনাজাত একসঙ্গে মোনাজাত দেন। তবে নামাজ শেষ করে বিতর পড়ে মোনাজাত দেওয়াই উত্তম।

তারাবির নামাজের ফজিলত

তারাবি নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করেন, তাঁর অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হয়। (বুখারি ও মুসলিম)। তিনি আরও বলতেন, ‘যে রমজানের রাতে ঈমানের সঙ্গে নেকির আশায় দণ্ডায়মান হয় তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (মুসলিম)

রমজান মাসের নির্দিষ্ট নামাজ হচ্ছে সালাতুত তারাবিহ। তারাবির নামাজ রোজার গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তারাবি নামাজ জামাতে পড়া ও সম্পূর্ণ কুরআনুল কারিম একবার খতম করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে তারাবি নামাজ পড়েছেন এবং সাহাবায়ে কেরামকেও পড়ার জন্য নির্দেশ করেছেন।

তারাবি নামাজ নারী-পুরুষ সবার জন্যই সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, যা পরিত্যাগ করার সুযোগ নেই। এ নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা বেশি সওয়াবের কাজ। তবে ঘরেও আদায় করা যেতে পারে। তারাবি নামাজ অবশ্যই ইশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিকের পূর্ববর্তী সময়ের মধ্যে আদায় করতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নামাজ অধিকাংশ সময় রাতের শেষাংশে আদায় করতেন এবং প্রথমাংশে আরাম করতেন। 

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে ২০ রাকাত তারাবি নামাজ আদায় করতেন, এরপর বিতির নামাজ পড়তেন।’ (বায়হাকি, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা)

আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ রাকাত তারাবি নামাজের ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছিল হজরত উমর (রা.)-এর খেলাফতের সময়। এর ওপর খোলাফায়ে রাশেদিন, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেইন, তাবে-তাবেইন, সালফে সালেহিন সবাই ঐকমত্যে আমল করেছেন এবং চার মাজহাবের ইমামরাও এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

হজরত সাইব ইবনে ইয়াজিদ (রা.) বলেন, ‘খলিফা হজরত উমর (রা.)-এর শাসনামলে রমজানে মুসলমানরা ২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়তেন।’ (বায়হাকি)। ইমাম নববী (রহ.) এ বর্ণনাকে সহি বলে আখ্যায়িত করেছেন। (আল খুলাসাতুল আহকাম)। ইবনে তাইমিয়া (রহ.) এ সম্পর্কে বলেন, ‘হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.) রমজানে সাহাবায়ে কিরামের জামাতে ২০ রাকাত তারাবি ও ৩ রাকাত বিতরের নামাজে ইমামতি করতেন।’ (মজমুয়ায়ে ফাতাওয়া)

হজরত উমর (রা.), হজরত উসমান (রা.) ও হজরত আলী (রা.)-এর শাসনামলে ২০ রাকাত তারাবিই পড়া হতো। তাদের নিরবচ্ছিন্ন আমল ও ইজমার আলোকেই সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০ রাকাত তারাবি নামাজ। এ আমলই পুরো পৃথিবীতে এখনও চালু রয়েছে।

তারাবি নামাজে এক খতম কুরআনুল কারিম পাঠ করা কিংবা শোনা অনেক সওয়াবের কাজ। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা রমজানের রোজাগুলো ফরজ করেছেন এবং এর রাতে তারাবি নামাজের জন্য দণ্ডায়মান হওয়াকে অশেষ পুণ্যের কাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।’ 

তারাবির নামাজের গুরুত্ব

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায়, তিনি (রা.) বলেছেন, ‘একদিন গভীর রাতে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বাহির হয়ে মসজিদে গেলেন এবং নামাজ পড়লেন, কিছু লোকও তার (সা.) পেছনে নামাজ পড়লেন।

ভোর হওয়ার পর লোকজন পরস্পরের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করায় দ্বিতীয় রাতে লোক সংখ্যা আরও বেড়ে গেল এবং তারা হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে নামাজ পড়ল। এ দিন ভোর হওয়ার পর লোকদের মাঝে আরও বেশি আলোচনা হল এবং তৃতীয় রাতে মসজিদের লোক সমাগম আরও বেশি হল, মহানবী (সা.) বাইরে বের হয়ে নামাজ পড়লেন আর তারাও তার (সা.) সঙ্গে নামাজ পড়লেন। যখন চতুর্থ রাত এলো তখন এতো লোক সমাগম হল যে, মসজিদে স্থান সংকুলান হলো না।

কিন্তু মহানবী (সা.) এ রাতে তারাবির নামাজের জন্য বের হলেন না, এমনকি ভোর হয়ে গেলে ফজরের নামাজের জন্য বের হলেন এবং ফজরের নামাজ শেষে লোকদের দিকে মুখ ফিরিয়ে তাশাহহুদ পাঠের পর বললেন, তোমাদের বিষয়টি আমার কাছে গোপন ছিল না। কিন্তু আমি আশঙ্কা করছিলাম যে, এ নামাজ না আবার তোমাদের ওপর ফরজ করে দেওয়া হয় আর তোমরা তা পালনে ব্যার্থ হও। হজরত রাসুলুল্লাহ্ (সা.) ইন্তেকাল করলেন এবং এ নামাজের বিষয়টি তেমনই রইল।’ -সহিহ বোখারি

হজরত আবদুর রহমান বিন আবদুল কারি (রা.) বর্ণনা করেছেন, রমজানের এক রাতে আমি হজরত উমর বিন খাত্তাব (রা.)-এর সঙ্গে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হলাম এবং দেখলাম, লোকেরা পৃথক পৃথক দলে বিভক্ত হয়ে আছে।

কেউ একা একা নামাজ পড়ছিল, আবার কেউ কেউ এভাবে নামাজ পড়ছিল যে, তার পেছনে কিছু লোক নামাজ পড়ছিল। এ অবস্থা দেখে হজরত উমর (রা.) বললেন, আমার মনে হয় সবাইকে একজন কারির পেছনে একত্রিত করে দিলে ভালো হয়। অতঃপর তিনি (রা.) দৃঢ় প্রত্যয় করলেন এবং উবাই বিন কাবের পেছনে তাদের সবাইকে মুক্তাদি হিসেবে একত্রিত করে দিলেন।

তারাবি নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের আশায় রমজানে তারাবির নামাজ আদায় করে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ -বোখারি ও মুসলিম

এ থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায়, তারাবির নামাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আমাদের প্রভূ প্রতিপালক যিনি সকল কল্যাণের মালিক এবং সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী, তিনি প্রতি রাতে এমন সময় পৃথিবীর নিকটতম আকাশে নেমে আসেন যখন রাতে এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে আর বলেন, কে আমাকে ডাকে যেন আমি তার ডাকে সারা দেই, কে আমার কাছে প্রার্থনা করে যেন আমি তাকে দান করি এবং কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেই।’ -বোখারি

তারাবির নামাজের নিয়ত জানতে চাই। তারাবির নামাজের নিয়ম। তারাবির দোয়া। তারাবির নামাজের নিয়ত। তারাবির নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয়

আশা করছি তারাবি নামাজ সম্পর্কে এই বিষয় গুলো আপনি বুজতে পেরেছেন। তারপরেও কিছু না বুজে থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।

তারাবির সালাত নিয়ে কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর

তারাবির নামাজ কাকে বলে?

তারাবি এর আভিধানিক অর্থ বসা, বিশ্রাম করা, আরাম করা। ইসলাম ধর্মে তারাবীহ বা কিয়ামুল লাইলহল রাতের সালাত যেটি মুসলিমগণ রমজান মাসব্যপী প্রতি রাতে এশার ফরজ নামাজের পর পড়ে থাকেন। তারাবীহ সালাত দুই দুই রাকআত করে যেকোনো সংখ্যক রাকআত পড়া হয়। তারাবীহ সালাতের পর বিতর সালাত পড়া হয়। রমজান মাসে এশার নামাজের পর অতিরিক্ত যে কিয়ামুল লাইলহল বা যে সুন্নতে মুয়াক্কাদা দুই রাকাত করে ৮ রাকাত, ১০ রাকাত, ১২ রাকাত, ১৬ রাকাত বা ২০ রাকাত সালাত আদায় করা হয়, তাকে তারাবির নামাজ বলে।

তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল?

তারাবির নামাজ হল সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অর্থাৎ খুবেই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত।

তারাবির নামাজ কত রাকাত?

তারাবির নামাজ কতরাকাত এই বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তারাবির নামাজের নির্দিষ্ট কোনো রাকাতের কথা বলা হয়নি, দুই রাকাত করে ৮ রাকাত, ১০ রাকাত, ১২ রাকাত, ১৬ রাকাত, ২০ রাকাত পড়া যায়। তারাবির নামাজ কত রাকাত হবে, রাসুলুল্লাহ (স.) তা নির্ধারণ করে যাননি।

তারাবির সালাতে সুরা ফাতিহার পরে একাধিক ছোট সুরা পড়লে নামাজ শুদ্ধ হবে কি না?

উত্তর : না, এতে কোনো অসুবিধা নেই। আপনি একাধিক সুরা একসঙ্গে মিলিয়ে পড়তে পারেন বা এক সুরা আপনি বারবার পড়তে পারেন অথবা আপনি কোরআনের মুসহাব থেকে তিলাওয়াত করতে পারবেন। এটা আপনার জন্য জায়েজ রয়েছে। তবে উত্তম হচ্ছে, যদি মুখস্থ থাকে, তাহলে বড় সুরা পড়া।

তারাবির নামাজের নিয়ত
তারাবির নামাজের নিয়ত

Marketer Rashed

This Is Marketer Rashed! A Digital Marketing Expert With Over 6+ Years of Experience On Digital Marketing. CEO & Founder at "Digital Marketing MasterMind" and Madaripur Outsourcing Institute.

Leave a Reply

sixteen − three =

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.