Site icon Marketer Rashed

কোন মাদারবোর্ড এর সাথে কোন প্রসেসর লাগাবেন

কোন মাদারবোর্ড এর সাথে কোন প্রসেসর

কোন মাদারবোর্ড এর সাথে কোন প্রসেসর

কোন মাদারবোর্ড এর সাথে কোন প্রসেসর লাগাবেন এটা অনেক কিছুর উপরে নির্ভর করে। তারপরেও চলুন আজকে এই বিষয়য়ের উপরে আপনাকে একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করি।

প্রথমেই সংক্ষেপে মানে অল্প কথায় আপনাকে একটা সঠিক পদ্ধতির কথা বলি। তা হল-

আপনি যেই কোম্পানির মাদারবোর্ড বা প্রসেসর ক্রয় করবেন। প্রথমে ওই কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাবেন। তারপরে একটু খুঁজে দেখবেন তাদের ওয়েবসাইটে তাদের মাদারবোর্ড সম্পর্কে কোন ধরণের প্রসেসর লাগাতে বলা হয়েছে। অথবা মাদারবোর্ড এবং প্রসেসর সম্পর্কে তারা কি গাইডলাইন দিয়েছে। এগুলো খুঁজে নিয়ে মনজগ সহকারে পড়ুন।

আপনার যদি ওয়েবসাইটে গিয়ে এই সকল তথ্যগুলো খুঁজে পেতে কস্ত হয় বা খুঁজে না পান। তাহলে আপনি তাদের সাথে জগজগ করে সাপোর্ট নিন। এর জন্য আপনি তাদের ওয়েবসাইটের কনটাক্ট বা সাপোর্ট পেইজটি কাজে লাগাতে পারেন।

প্রসেসরের জন্য কোন মাদারবোর্ড আপনার দরকার? তা কিভাবে বুঝবেন-

Z170, H170, B150 or H110

Z170, H170, B150 এবং H110 চিপসেটের মেইনবোর্ড LGA1151 সকেটের Intel 6th Gen. প্রসেসর সাপোর্ট করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোনটির কি বৈশিষ্ট্য।

>Z170 চিপসেটের মাদারবোর্ডগুলো প্রসেসরকে ওভারক্লকিং করার সুযোগ দেয়। অর্থাৎ i5-6600K বা i7-6700K এর মতো ওভারক্লকিং প্রসেসরগুলো এ ধরনের মেইনবোর্ডের সাথে ভালো কাজ করবে। এ ছাড়া এগুলো Nvidia SLI ও AMD Crossfire সমর্থন করে। যারা Extreme গেমিং করতে চান তাদের জন্য এ ধরনের মেইনবোর্ড উপযোগী। তবে, বিজনেস পিসির কোন ফিচার এতে পাওয়া যাবে না।

>H170 ওভারক্লকিং সমর্থন করে না। তাই ওভারক্লকার (K যুক্ত মডেল) প্রসেসরগুলো এই মাদারবোর্ডে লাগালেও ভালো পারফরমেন্স পাওয়া যাবে না। K ছাড়া i5, i7 মডেলগুলোর জন্য এই মেইনবোর্ড উপযোগী। অন্যান্য গেমিং ফিচারগুলো এতে পাওয়া যাবে। সাথে কিছু কিছু বিজনেস পিসির ফিচারও এতে পাওয়া যাবে।

>B150 অপেক্ষাকৃত সরল ডিজাইনের মেইনবোর্ড যা ওভারক্লকিং সাপোর্ট করে না। এ ধরনের মেইনবোর্ডে সাধারণত ১টি গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা যায়। তবে কিছু কিছু মডেল একাধিক গ্রাফিক্স কার্ড সমর্থন করে। মূলত বিজনে পিসির জন্য উপযুক্ত হলেও মাঝারি মানের গেমিং পিসির জন্যও ভালো। i3 এবং Pentium প্রসেসরের সাথে এটি ভালো কাজ করবে।

>H110 মূলত এন্ট্রি লেভেলের মেইনবোর্ড। Pentium এবং Celeron প্রসেসরের উপযুক্ত। এগুলোতে দুটোর বেশি র‍্যাম স্লট থাকে না।

আরও পরতে পারেনঃ পিসি বিল্ড গাইডলাইন

কোন মাদারবোর্ডে কোন প্রসেসর সাপোর্ট করবে তা কী করে বুঝতে হয়?

যে কোম্পানির মাদারবোর্ড নিবেন, সেই কোম্পানির ওয়েবসাইটে যাবেন । যেমন আমি গিগাবাইট এর একটি মাদারবোর্ড নিয়েছি। এখন এটার সাথে কি কি প্রসেসর সাপোর্ট করে তা দেখার জন্য Service/ Support – GIGABYTE Global গিগাবাইট সাপোর্ট ওয়েবসাইটের পেজে আসলাম, মাদারবোর্ডের মডেল নম্বর দিয়ে সার্চ করলে প্রসেসর সাপোর্ট, ড্রাইভার সফটওয়ার, আপডেট সবকিছই পাওয়া যাবে । এটি একটি সহজ এবং কার্যকরী উপায়।

অন্য কোম্পানির ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই হবে। আপনি শুধু ওই কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে আকই কাজটি করবেন। প্রস্তুত কারক কোম্পানির ম্যানুয়েল বা ওয়েব সাইট এ পাবেন সঠিক তথ্য।

কম দামের মধ্যে কোন কোম্পানির মাদারবোর্ড কিনলে ভালো হবে

গত ১০ বছরে আমি Gigabyte এর দুটি Motherboard ব্যবহার করেছি , একটির বয়স ৮ বছর আর অন্যটির ২ । এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি, খুবিই ভাল সার্ভিস পাচ্ছি। আর যদি ব্যবহার এর কথা বলেন তাহলে বলব , আমি একসময় প্রচণ্ড গেম খেলতাম, এখন আর খেলা হয়না বাস্তবটার খাতিরে , এখন সার্ভার ভারচুয়ালাইজেশনের কাজ গুলই বেশি করি করে থাকি।

মোটামুটি ৬-১৬ ঘনটা কম্পিউটারে কাজ করতে হয়ে, সুতরাং বুঝতেই পারছেন , এভারেজের থেকে একটু বেশিই কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়। আপনি চোখ বন্ধ করে Gigabyte এর Motherboard নিতে পারেন। আর দামও খুব বেশি পরবেনা ।

পার্সোনালি আমি Gigabyte, MSI, Asrock, Biostar এর মাদারবোর্ড ব্যাবহার করেছি । যদিও মেজর ব্র্যান্ডগুলোর লং টাইম পারফর্মেন্সে খুব বেশি তফাত পাইনি তারপরো চয়েস দিলে Gigabyteই বেছে নেব। আর আপনার জন্য পরামর্শ হবে, যেটার দাম কমে পান সেটাই কিনুন ।

গিগাবাইট এর মাদারবোর্ড এর সকল ড্রাইভার ডাউনলোড করা যায় অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে। তাছাড়া গিগাবাইট এর মাদারবোর্ড দাম কম।

আরও পরতে পারেনঃ নতুনদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা A To Z

গিগাবাইট ৪১ মাদারবোর্ডে কি কোর আই ৩ প্রসেসর লাগানো যাবে?

G41 মেইন বোর্ডে কোর আই ৩ প্রসেসর লাগানো যাবে না ,

কারন কোর আই ৩ -এর এলজিএ ( LGA) ১১৫৫

এবং

G41 motherboard বোর্ডে এ সকেট ৭৭৫

Gigabyte GA-H61M-DS2 Motherboard বোর্ডে কোর আই ৩ সিপিইউ ব্যবহার করা যাবে ।

কোরআই-৩ এর কোন জেনারেশন প্রসেসর ব্যবহার করবেন সেটার উপর নির্ভর করবে কোন মেইনবোর্ডটি সঠিক বা মানানসাই ।

সবচেয়ে ভালো মাদারবোর্ড কোন কোম্পানি তৈরি করেন?

আমার জানা মতে আসুস সব চেয়ে ভালো মানের মাদারবোর্ড তৈরি করে। আসলে যারাই এগুলো নিয়ে কাজ করতেছে তাদের সবার মাদারবোর্ড প্রসেসরেই উন্নতমানের হয়ে থাকে। শুধু আপনার বাজেট বেশি থাকলেই হবে। আর বাকিটা ব্যাবহারের পরেই বুজা যায়। 

মাদারবোর্ড কেনার সময় নিচের ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখতে পারেনঃ -একজন ব্যাবহারকারির কথা

অনেকেই মাদারবোর্ড কেনার সময় খেয়াল রাখেন ইউএসবি ৩ পোর্ট আছে নাকি। আমি এটা নিয়া আজাইরা মাথা ঘামাইতে ঘামাইতে আসল জায়গায় আর ভাবতে পারি নাই। এখন পর্যন্ত ইউএসবি ৩ পোর্ট কাজে লাগানোর মত জিনিস বাজারে এত সস্তা নয়। ভবিষ্যতে সেরকম পেন ড্রাইভ বা পোর্টেবল হার্ড ডিস্ক কিনলে তখন আপনি ইউএসবি ৩ এর চিন্তা করতে পারেন। নাইলে থাক।

নতুন আসা গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য মাদারবোর্ডে পিসিআই এক্সপ্রেস ৩ পোর্ট আছে কিনা এটা দেখা আরেক অযথা সময় নষ্ট। সব পিসিআই এক্সপ্রেস ৩ কার্ডই ব্যাকওয়ার্ড কম্প্যাটিবল, সো এটা অনায়াসেই বর্তমানের যেকোন মাদারবোর্ডের ২.০ পোর্টে খুব ভালভাবে চলবে।

সত্যি কথা বলতে কি বর্তমানের এমন কোন এপ্লিকেশন বা গেমই নাই যেটার জন্য আলাদা করে পিসিআই এক্সপ্রেস ৩ ওয়ালা গ্রাফিক্স কার্ড দরকার। গেমিং এক্সপার্টরা পিসিআই এক্সপ্রেস ৩ আর ২ ওয়ালা গ্রাফিক্স কার্ডের মাঝে তেমন কোন ডিফারেন্স খুঁজে পান নাই। প্রায় একই পারফরমেন্স। এটাকে মূলত গ্রাফিক্স কার্ড কোম্পানির মার্কেটিং স্ট্রাটেজি হিসেবে দেখা হচ্ছে, এর বেশি কিছু না 😉

কোন মাদারবোর্ড এর সাথে কোন প্রসেসর লাগাবেন মূল পোস্ট-

মাদারবোর্ড রেম ম্যাক্সিমাম ৮ জিবি সাপোর্ট করলেই এনাফ, এর বেশি রেম বেশিরভাগ ইউজারেরই লাগানোর দরকার হয় না।

দোকানদাররা আপনাকে সবসময় বলবে বেশি রেম স্লটের মাদারবোর্ড কিনতে, কিন্তু এতে দেখবেন খুঁজতে ঝামেলা হয়ে যাচ্ছে বা খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আমি বলব দরকার নেই। দুটো রেম স্লটই আপনার জন্য যথেষ্ট।

আপনার মাদারবোর্ড প্রসেসরের সাথে ম্যাচ করে কিনলে ভাল হয়। লেখা থাকে মাদারবোর্ড এর স্পেসিফিকেশনে , To support DDR3 1600 MHz, you must install an Intel 22nm CPU. যেমন যদি কোর আই থ্রি প্রসেসর কিনেন, তবে আজাইরা ডিডিআর থ্রি ১৬০০ বাস বা তার বেশি সাপোর্টেড মাদারবোর্ড কিনে লাভ নাই। কারণ আপনার প্রসেসর ১৩০০ বাসের বেশি সাপোর্ট করবে না।

আর যদি কোর আই ফাইভ based on Intel’s Ivy Bridge 22 nm technology কিনেন, তবে সেরকম সাপোর্টেড মাদারবোর্ড কিনার পিছে টাকা ঢালতে পারেন :-/ কারণ Intel Core i7 and Intel Core i5 processors based on Intel’s Ivy Bridge 22 nm technology প্রসেসর গুলাই মূলত ডিডিআর থ্রি রেম ১৬০০ বাস বা তার বেশি সাপোর্ট করবে।

– SATA 3Gb/s বনাম SATA 6Gb/s

কোন হার্ডডিস্কই বর্তমানে SATA 3Gb/s এর ফুল ইউটিলাইজ করার মত অবস্থায় যায় নাই, তাই খামোকা SATA 6Gb/s সাপোর্টেড মাদারবোর্ড কিনে টাকা নষ্ট করবেন না। আমি সেরকম SATA 6Gb/s সাপোর্টেড মাদারবোর্ড কিনে SATA 6Gb/s সাপোর্টেড হার্ড ডিস্ক লাগাইসি। আবার SATA 3Gb/s তেও লাগাইসি। সেইম পারফরমেন্স। তয় এসএসডি লাগাইলে আলাদা কথা।

অনেক মাদারবোর্ডেই ওয়াই- ফাই কার্ড দেয়া থাকে না, সো চাইলেও বাংলালায়ন মডেমে ওয়াই- ফাই চালু করে পুরনো পিসির সাথে নতুন পিসি কানেক্ট করতে পারবেন না ( ল্যাপটপে যেমন বিল্ট- ইন থাকে , সো ইজিলি করা যায়) । আগের পিসি এবং নতুন পিসিতে এক মডেম দিয়ে এক সাথে নেট ইউজ করতে চাইলে আলাদা করে ওয়াই- ফাই কার্ড কিনতে হবে, দাম নেবে ১০০০ – ১৫০০ টাকা। অথবা একটা ৫ পোর্টের সুইচ কিনে ফেলতে পারেন, ক্যাবলসহ খরচ পড়বে ৭০০-৮০০ টাকা।

তো যাই হোক, কোর আই থ্রি প্রসেসর এর সাথে আপনি কিনতে পারেন গিগাবাইটের একটা ৬০০০-৭০০০ টাকার মাঝে একটা মাদারবোর্ড। মার্কেটে কোনটা যে এভেইলেবল, সেটা ঠিক নাই। তয় Gigabyte GA-H61M সিরিজের যেকন একটা কিনে ফেলতে পারেন।

আসুস মাদারবোর্ড আমার খুব একটা ভালো লাগে না। গিগাবাইটের মাদারবোর্ডগুলার ফিচার খুবই ভাল। আর ইন্টেলের মাদারবোর্ড অনেকেই বলছেন খুব বেশি নাকি ডিফেক্ট ধরা পড়ে, তাই দোকানদাররা আর এখন এসব কম রাখে।

আর কোর আই ফাইভ বা সেভেন প্রসেসর এর সাথে আপনি কিনতে পারেন গিগাবাইটের Gigabyte GA-B75M-D3H ( দাম ১০ হাজার) বা Gigabyte GA-H77-DS3H ( দাম ১১ হাজার) মাদারবোর্ড। বা আরও টাকা খরচ করতে চাইলে Gigabyte GA-Z77-D3H ( দাম ১৩ হাজার)। সবগুলোর সাথেই ৪ টা রেম স্লট আর ম্যাক্সিমাম রেম সাপোর্ট ৩২ জিবি।

ইউএসবি ৩ পোর্ট আছে। এগুলা AMD CrossFireX™ technology সাপোর্ট করবে যা গেমাররা অনেক সময় খুঁজে থাকেন। তয় আমি পার্সনালি CrossFireX™ technology ব্যবহার করার জন্য আলাদা টাকা খরচ করতে আগ্রহী নই। যাই হোক, এই মাদারবোর্ড কিনলে আপনার পিসির ফিউচার আপগ্রেডের চিন্তা থেকে আপাতত মুক্তি।

পিসি মাদারবোর্ডে কী ভুল হতে পারে- আপনার জানা প্রয়োজন

আমি ধরে নিচ্ছি আপনি পিসি মাদারবোর্ড ডিজাইন বা ম্যানুফ্যাকচারিং এর ভুল নয়, বরং একজন ব্যাবহারকারী কী কী ভুল করতে পারেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন।

সঠিক পোর্ট বা স্লটে সঠিক ডিভাইস/ ড্রাইভ লাগাতে হবে। র‍্যামের ক্ষেত্রে DDR2 এবং DDR3 এর স্লট ভিন্ন হয়। সঠিক ক্যাটাগরির র‍্যাম লাগাতে হবে এবং র‍্যামের কন্টাক্ট গুলো রাবার/ ইরেজার দিয়ে পরিষ্কার করে লাগাতে হবে।

অনেক সময় র‍্যামের স্লটে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যায় এবং সেই স্লটে র‍্যাম ব্যাবহার করা যায় না; সেক্ষেত্রে শিরিষ কাগজ ( Sand Paper) দিয়ে ঘষে দেখতে পারেন। সার্ভিস সেন্টারে এরকম ভাবে স্লট পরিষ্কার করে। তবে খেয়াল রাখবেন কোন পিন যে বেকে না যায়। বেকে গেলে/ ভেঙে গেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।

আমার বাসায় খুব ধুলা জমে, তাই প্রতি মাসেই পিসির মাদারবোর্ড খুলে ধুলা পরিষ্কার করতে হয়। আপনি ২-৩ মাস পর পর ধুলা পরিষ্কার করতে পারেন।

এরকম স্টক কুলার ফ্যান থাকলে লক গুলো সাবধানে খুলবেন এবং ফ্যানটি পরিষ্কার করে পুনরায় লাগাবেন। আমি বেশ কয়েকবার ফ্যানের লক ভেঙে ফেলেছি এবং নতুন করে কুলার ফ্যান কিনতে হয়েছে।

আর বড় হিট সিংক সহ ফ্যান বা Water cooler থাকলে তা খোলার দরকার নেই, এমনি ব্রাশ / এয়ার ব্লোয়ার দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।

যদি কেচিং থেকে মাদারবোর্ড খুলে পরিষ্কার করতে হয়, তবে বোর্ডটির পেছনে ধাতব কিছুর স্পর্শ করানো যাবে না, এতে শর্ট সার্কিট হতে পারে। বোর্ডটি খুলে কাগজ/ নরম কিছুর উপর রেখে পরিষ্কার করতে পারেন।

এরপর বোর্ডটি লাগানোর সময় অথবা যদি আগের বোর্ড রিপ্লেস করে নতুন বোর্ড লাগাতে হয়, তবে সব গুলো স্ক্রু লাগিয়ে ভাল ভাবে টাইট করে দিতে হবে। স্ক্রু লুজ থাকলে 24 পিনের কানেক্টর লাগাতে অসুবিধা হবে।

ভেন্টিলেটর আউটলেট গুলো পরিষ্কার রাখবেন। ডেস্কটপ পিসির সামনের দিকে যদি ফ্যান থাকে, সেটি পরিষ্কার রাখবেন এবং বাতাস চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখবেন।

কোন স্টিকার/ কভার/ কাপড় দিয়ে আটকাবেন না। পিছনের ফ্যান ধুলা জমে থাকলে বাতাস বের হবে না / ফ্যান নাও ঘুরতে পারে। তাই অন্তত ৩ মাস পর পর পিছনের ফ্যানটি পরিষ্কার করবেন।

ল্যাপটপের নিচের দিকে বাতাস চলাচল নিশ্চিত করবেন। প্রয়োজনে কুলার ব্যাবহার করতে পারেন বা বই/ খাতা দিয়ে ল্যাপটপ উচু করে বাতাস বের হওয়ার জায়গা রাখবেন।

ভোল্টেজ ওঠা নামা ( Surge) থেকে নিরাপদ থাকার জন্য একটি UPS ব্যাবহার করতে পারেন। UPS ব্যাবহার করলে আলাদা ভাবে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যাবহার করতে হয় না। UPS এর ব্যাটারি ২ বছর পর পর বদলে দিলে ভাল ব্যাকআপ পাবেন।

মাদারবোর্ড নষ্ট হবার লক্ষণ কী কী তা যেনে রাখুন কাজে দিবে

কম্পিউটারে মাদারবোর্ড খুব গুরুত্বর্পূণ একটি জিনিষ। অবশ্যয় নাম শুনেই বুঝতে পারছেন তাঁর গুরুত্বটা কতটুকু।

মাদারবোর্ডেই পিসির অন্যান্য ডিভাইসের/যন্ত্রের সংযোগ। কম্পিউটার হলো এমন একটি জিনিস যেখানে একটা ইন্টার্নাল সমস্যার করনে আপনার পিসিটাই শেষ। অন হবেনা, যতক্ষন না সে সম্যাটা চিহ্নিত করে সমাধান না করেন। যাই হোক, এবার মূল প্রশ্নে আসি। মাদারবোর্ড নষ্ট হওয়ার অনেক লক্ষন থাকতে পারে।

যেমন-

১। মাদারবোর্ডে সিপিউ (প্রসেসর ) সকেটে কিছু পিন রয়েছে। এসব পিনের সাথে প্রসেসর আর মাদারবোর্ডের সংযোগ হতে না পারলে। কম্পিউটার অন হবে না। হলেও কিছুক্ষন পর অপ হয়ে যাবে। আগেই বলেছিলাম একটা জিনিষের অনুপস্থিতিতে আপনার পিসিটা অন হবেনা। যেহেতু পিসির একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের ( প্রসেসর) অনুপস্থিত থাকতেছে। তাই আপনার পিসি অন হবেনা।

২। র‌্যামের সলেট নষ্ট। যেহেতু মাদারবোর্ডের সাথে সব ডিভাইসের সংযোগ থাকে। তাই র‌্যামেরও সংযোগ রয়েছে। কিন্তু মাদারবোর্ডর র‍্যাম সলেটে যদি কোনো পিনের সমস্য হয় তাহলে পিসি অন হবেনা। মাদারবোর্ড পরিবর্তন করতে হবে।

আমি উপরে দু’টি উদাহারন দিলাম। এরকম অনেক লক্ষন থাকতে পারে যার কারনে পিসি কাজ করতে পারেনা। তা, একজন মেকানিকের কাছে নিয়ে গেলে সে তা বাহির করে। মাদারবোর্ড পরিবর্তন করার পরামর্শ দিতে পারেন। মাদারবোর্ড যে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তা আগে থেকেই বুঝা যায়না।

যেমন- ৩ সাপ্তাহ জ্বর থাকলে বুঝা যায় জ্বক্ষা হয়েছে। সেটা তখন বুঝা যায়, যখন নষ্ট হয়ে যায়। তায়, মাদারবোর্ডে খুব সুক্ষন হাতে হাতে দিতে হয়। সমন্য ভুলে একটা পিন বাকা হয়ে গেলে মাদারবোর্ড পুরাই গেছে! আর মাদারবোর্ড রিফেয়ার করাও অনেকটা কঠিন।

ক্ষেত্রে বিশেষে ঠিক করা যায়না। তবে, যদি মাদারবোর্ডে ধুলো, বালি ঢুকতে না দেওয়া হয়। আর ধুলো, বালিগুলো পরিষ্কার করা হয় (বিশেষ পদ্বতিতে) তাহলে মাদরবোর্ড দীর্ঘদিন ভালো থাকব।

শেষ কথাঃ কোন মাদারবোর্ড এর সাথে কোন প্রসেসর লাগাবেন

কোন মাদারবোর্ড এর সাথে কোন প্রসেসর লাগাবেন তা আশা করছি এখন আপনি ক্লিয়ার হয়ে গেছেন। পাশাপাশি প্রসেসর এবং মাদারবোর্ড সম্পর্কে আর অনেক তথ্য পেয়ে গেছেন। পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!

Exit mobile version